অপেক্ষা! ফুটে ওঠা সাদা ঘাসফুলকে পায়ে পিষে
জাতিস্মরের মত আমি শুধুই করেছি অপেক্ষা।
বাঁজপাখির চোখে খুঁজেছি আমি পুরো বিশ্ব;
তবুও পাইনি রূপগাছাটির এক নজরের প্রেক্ষা।
ধ্বসে পড়ার মুখোমুখি পা বাড়িয়েছি,
সম্মুখে কাটাতার—ভীষণ বিভীষিকা।
ক্যাকটাস কাটায় পা মাড়িয়েছি;
লক্ষ নিখুঁত, নিকটে যেতেই মরীচিকা।
আশা রেখেছি খরের ঘরের মধ্যেখানে
সেই একটুখানি ফুলকি খুজে, পুড়ে হবে ছাই।
আশা আছে—আবার বাঁধবো ঘর।
তবে আশা রাখার খরের ঘরের খর-ই বা কোথায় পাই?
জ্বলুক আমার সেই হৃদয় পোড়ানো আশা।
তার সম্মুখে আমি উষ্ণতা উপভোগ করতে প্রস্তুত।
তবে আবার যদি উঠতে দেখি তরুণ;
মানবো না শিকল-বেড়ি—লক্ষপথে বেগ বিদ্যুত।
বিশ্বাস রয়েছে অত্যাধিক উজ্জ্বল ডোরায়;
অটুট সেই বিশ্বাসে আশার ক্ষীণ আলো।
শকুনে ঠুকরে ঠুকরে ছিড়ছে মাংস;
তবুও তো এ জীবনের থেকে ঢের ভালো!
ক্ষুণ্ণ সে আশা আক্রমণার্থে আসে প্রান্তে
রক্তে মোড়ানো হতাশ পক্ষীর অবলম্বন দেখে
তারাও ভাবে আবার ফিরবে উদ্দীপ্ত হয়ে;
চলে যায় উজ্জ্বল ডোরায় উজ্জলিত বিশ্বাস রেখে।
তবে সেখানে কিছু মথ আসে পথ ভোলে;
সেই বিশ্বাসকে এক নজরের প্রেক্ষাপটে বর্ণনা করবে।
রাজ্যে গিয়ে তারাই বলে-‘প্রেমিক দেখিয়াছি’
বুক ফুলিয়া উঠে তাদের প্রেমিক দেখার গর্বে।
তবে তারা তো আর জানে না
গভীর রাতে জোছনা তলেও দুঃখ রটে।
ভুলে গেলে প্রেমিক-ই বা কিসের;
আশা-বিশ্বাস মনে বেধেই অপেক্ষা ঘটে।
তাইতো বলি এত ভয়ানক কেন অপেক্ষা!
তেষ্টার জোরেই হাতে নেই সেই পাত্র।
একবার সেই বিষ পান করিলে
জ্বালা করে—হয়ে ওঠে নীল বর্ণ পুরো গাত্র।
সবচেয়ে বিষাক্ত ও ভয়ানক বিষই এই অপেক্ষা।
উদ্ভিদের মত জীবিত আবশ্যক থাকে;
তবে নিরঙ্কুশ বিজয় হবে না জেনেও
মৃত আত্মা নিয়ে ঘুরে ভালোবাসার প্রতি বাঁকে।