বনী ইস্রাঈলের এক সন্তান
রাজত্ব তার করে খান খান,
স্বপ্ন দেখে মিশরের ফিরাউন
হাজারও শিশু করেছে খুন।
বাদশাহর আদেশ—
ইস্রাঈলের সব শিশু কর শেষ,
ফিরাউনের ডরে
ভয় জাগে মায়ের অন্তরে।
কাঠের বাক্স ভেলা বানিয়ে
শিশু নবীকে দেন পানিতে ভাসিয়ে,
ঢেউয়ের তোরে দুলে দুলে
ভেলা আসে প্রাসাদের কূলে।
নদী হতে শিশুকে তুলে
মাতা আসিয়া নেন কোলে,
চাঁদ মুখ দেখে মায়ের হৃদয়
মাতৃত্বের সুখ হইল উদয়।
পাপী ফিরাউন খুঁজিছে যারে
সেই শিশু বাড়ে তার ঘরে,
আল্লাহ বাঁচায় যারে
কেউ কী মারিতে পারে?
একদিন এক বিপদে পড়ে
নবী গেলেন দেশান্তরে,
দশ বছর তিনি রাখালি করে,
শুয়াইব নবীর ঘরে।
মাদায়ন শহরে পাহাড়ের উপরে
নবুয়ত দেন আল্লাহ তারে,
আল্লাহর পয়গম্বর ফিরিলেন মিশরে
দিতে দ্বীনের দাওয়াত ফিরাউনের তরে।
পাপীষ্ঠ ফিরাউন দেখায় স্পর্ধা
সাজিয়া মিথ্যা খোদা,
খোদার দুশমন কুফরিতে মাতে
শত্রুতা করে নবীর সাথে।
বলেন মূসা কালিমুল্লাহ—
"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।"
যে করিবে কুফরী,
ধ্বংস তাহারই।
একে একে আসে খোদার আযাব
ছাড়েননি কুফরী, বাড়ে তাহার পাপ,
খোদার আদেশ আসে করিতে হিজরত
ইস্রাঈল জাতি ধরে সাগরের পথ।
আল্লাহর আদেশ রাতের আধারে
কওমসহ নবী মিশর ছাড়ে,
যখনই তারা সাগর কিনারে
ফিরাউন পিছু দেখিল ফিরে।
কাঁদে তারা প্রাণের ভয়
কী জানি বা কী হয়!
আল্লাহর কুদরত—
লাঠির আঘাতে সেথা হয় বার পথ।
সেই পথে দেয় পারি
মূসা মুক্তির কান্ডারি,
ফিরাউন ও তার দলবল
দেখে দুই ভাগে সাগরের জল।
মুসা যায় হয় যে পথে
শণ্য সামন্ত চড়ে রথে
সাগরের মাঝে
সেই পথে নবীকে খোজে।
সাগরের মাঝে আসিল যখন
দুই ধারের জল মিলিয়ে তখন,
লোনা জলেতে ডুবে
কাফের মরিল সবে।
ইস্রাঈল জাতি,
দেখে খোদার কেরামতি।
তারপর সেই অভিশপ্ত দাস,
নবীকে করে অবিশ্বাস।
তুর পাহাড়ে উঠে
কথা বলেন নবী আল্লাহর সাথে,
আনিলেন তাওরাত,
আসমানী কিতাবে দ্বীনের দাওয়াত।