মানুষে করিত মানুষের পূজা
আদেশ করেন নমরূদ রাজা,
এমনি ছিল পাপিদের দ্বীন
অন্ধ জাতি ছিল ঈমানহীন।
চন্দ্র- সূর্য, রাতের তারা
দেবতার পূজাঁ করে তাঁরা
করে রাজার উপাসনা
মেটায় রাজা নিজ বাসনা।
পাথর কেঁটে বানায় মূর্তি
করে তারা রাজার আরতি,
এমনি তার মান
নিজেরে কয় খোদার সমান।
তারেক তাহার মন্ত্রী ছিল
তার ঘরেতে জন্ম নিল,
নবী ইব্রাহিম আলাইহিওয়াসাল্লাম
যার হাতে এলো সত্যের পয়গাম।
তাওহিদে যার অটল চলা
সত্য নবী সত্য বলা,
ছিল মিথ্যার যত ছলাকলা
ভাঙলেন তিনি সেই মূর্তিগুলা।
ব্যাবিল তখন পাপের নগর
পূঁজিত মানুষ কাঠ–পাথর,
নমরুদ তথায় মহারাজা
সব কিছুতেই দেয় সে সাজা।
রাজা নমরূদ করিলেন আদেশ
অগ্নিকুণ্ডে করবে নবীকে শেষ,
অগ্নিশিখা আকাশ ছুঁলে
নবীকে সেথায় কাফিরে ফেলে।
আল্লাহর বন্ধু ইব্রাহিম খলিল
কাফিরগণে দেখিল দলিল,
জান্নাতি বাগান সেথায় খোদার ইচ্ছায়
আগুন হতে নবী মুক্তি পায়।
ঈমানের পথে অটল যিনি
বারে বারে পরীক্ষা দেয় সে দ্বীনি,
স্বপ্নে আদেশ পেয়ে তিনি
পুত্র ইসমাইল করেন কুরবানি।
দেখ ঈমানদার দেখ জ্ঞাণীগুণী
দেখ খোদার মেহেরবানী,
ইসমাইল নবী বাঁচিয় রয়
জান্নাতি এক পশু কুরবানি হয় ।
কাবা বানাইলেন পিতা পুত্র মিলে
আজো যা রয়েছে মুমিনের দিলে,
যে আলো তুমি রেখেছ জ্বেলে
স্মরণ করি পিতা আমরা সকলে।