ঝিরি ঝিরি বাতাস বয় সকাল আর সাঝে,
শিশির কণা ঝরে পড়ে মধুময় রাঁতে।
না শীত না উষ্ণ ; প্রকৃতি অপরূপ সাঁজে,
গাছের পাতা ফেলে হেমন্তের ঢোল বাজে।
মৃদু কম্পনে কম্পিত গাছের সকল পাতা,
এ যেন আনন্দে উল্লসিত সখি আর সখা।
সকালের শিশির ভেজা সবুজের ঘাসে;_
যেন পুলকিত চোখ আনন্দে নাচে।
হেমন্ত আসে নানা ফুলের নানা সৌরভ নিয়ে;
পাগল করে গন্ধরাজ আর শিউলি মালা দিয়ে।
আরও ফোঁটে নাম না জানা শত ফুল, কামিনি,মল্লিকা,দেবকাঞ্চণ আর হিমঝুর।
হেমন্তের মৃদু স্পর্শে ; সকল গাছে_
পাতাগুলো হিমুর রঙে রাঙা হয়ে পড়ে।
শরষে ক্ষেতে হিমুর বেশে অদ্ভুত রকম সাজ,
ঘাশের ডগায় শিশির কণা মণি-মুক্তার তাজ।
হেমন্তের এই মধুর দিনে কৃষকের মুখে হাসি,
আমন ধান আনতে যাবে হাতে তাই রশি।
নবান্নের এই নতুন ধানে তৈরি হবে পিঠা_
হাজার রকম পিঠা খেয়ে জুড়াবে মনের ক্ষুধা।
লাঠি খেলা , নাগর দোলা হেমন্তের মেলায়_
বাঁজে বাঁশি মধুর সুরে যেথায় সেথায়।
হেমন্ত; ঘুরে ফিরে এসে মোদের দ্বারে;
বাঙ্গালির বাঙ্গালীত্ব প্রকাশ করে বারে বারে।
হেমন্ত যেন দু’রাজ কন্যা কৃত্তিকা আর আর্দ্রা
এক হয়ে সৃজিল তাঁরা নতুন এক সন্ধ্যা।
সাজিল ধরা নতুন সাজে, নানা রঙের ফুলে_
নতুন উৎসবের আমেজে উঠিল সকলে দুলে।
(২০১৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের "আবৃত্তি সংঘের" আহ্বানে 'হেমন্ত' নিয়ে লিখে পুরুষ্কার প্রাপ্ত)