(পুঁথি পাঠের ন্যায় পাঠ করলে এর ভাবটি বজায় থাকবে)
শুনেন ভাই-বোনেরা শুনেন দিয়া মন, পিঁয়াজের আত্ম-দ্রোহ করিব বর্ণন, সবাই শুনেন দিয়া মন।
তেলেবেগুনে ভাই জ্বলে না আর কেউ; পিঁয়াজের ঝাঝে জ্বলে গৃহিণী বউ; শুনেন শুনেন দিয়া মন।
ভূমি হতে উঠায়িয়া পিঁয়াজ জাতিরে, কেমন করে করে জবেহ, মানা নাহি যাবে। তোমরা শুন দিয়া মন।
পিয়াজ-নেতা সগ্গলেরে ডাকিয়া কহিল, সবাই তোমরা একাট্টা হও; হামরা মানু-ষেরে দেখিয়ে নিব। শুন শুন দিয়া মন।
এই কহিয়া সক্কলে ভাই গুদামে_ আবদ্ধ রহিল, মওজুদ্দারেরা বলিলেও তারা বাহির না হল। সবাই শুনেন দিয়া মন।
খরিদ্দারেরা সবাই যখন খরিদে গেল, পিয়াজেরা নিজেদেরকে অদৃশ্য করিল! আহা শুনেন দিয়া মন, মওজুদ্দারেরা কহিল ভাই পিয়াজ মওজুদ নাই,
খালি খালি তোমরা কেবল কর কাউ-মাউ!
সবাই শুনেন দিয়া মন।
পিয়াজ ব্যাটা সময় বুঝে দিছে চম্পট কোথা, তোমরা শুধু গাহিতেছ মওজুদ্দারের দোষ-গাথা! (ইহা ভাল নাহি হবে)
দোষ সকলি পেয়াজ ব্যাটার মওজুদ্দারি সাদা, তোমরা ক্যান লাগায়িছো তাহার গায়ে কাদা?
পিয়াজের কাছে ক্ষমা তোমরা চাও, দেখা দিলে দিতে পারে পিয়াজের বাপ-মাও...!
এই কহিয়া এখন আমি বিদায় নিলাম ভাই,
পিয়াজ ব্যাটারে খুজে দেখি পাই কি না পাই! সবাই দোয়া রাখবেন ভাই।