'কখনো পোস্টার শেষ হয় তো কখনো আঠা,
কিন্তু দেওয়াল কখনো শেষ হয় না!'

মানুষ যখন জংগলের অধিপতি ছিলো
তখন না ছিলো দেওয়াল, না ছিলো পোস্টার,
তবে আঠা কিন্তু ঠিকই ছিলো,
ভেষজ আঠার ইতিহাস মানব সভ্যতার মতোই পুরনো,
পুরাকাল থেকেই মানুষ গঠন ও স্থিতিতে বিশ্বাসী,
আদি মানুষ হৃদয়ের আঠা দিয়ে
বিশ্বাসের ভাঙনও জুড়ে দিতে জানতো।

আমাদের আদি পুরুষের জীবন ছিলো প্রকৃতির মতো নির্মল,
এতো দেওয়াল, এতো ভেদাভেদ ছিলো না,
ছিলো প্রতিকূল পরিবেশে নিজেকে টিকিয়ে রাখার সামর্থ্য,
ছিলো নিজের সক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস,
মানুষ নিজেই নিজের জন্য হুমকি ছিলো না,
ছিলো একতা ও বিশ্বাসের দুর্লঙ্ঘ দেওয়াল।

দিনে দিনে মানুষ যতো উন্নত হয়েছে,
সভ্যতার অগ্রগতির দাবীদার হয়েছে,
কমেছে সামর্থ্য, কমেছে বিশ্বাস, কমেছে ঐক্য,
বেড়েছে অবিশ্বাস ও ভেদাভেদের দেওয়াল,
সৃষ্টির সেরা জীবের দাবীদার হতে গিয়ে
বেড়েছে শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার আত্মঘাতী লড়াই,
তেজস্ক্রিয় উন্নতি অব্যাহত থাকলে
একদিন মানুষ নিজেই হয়তো
মানব সভ্যতা ধ্বংসের কারণ হবে।

তুমি যদি একজন পোস্টার বয়ের চোখ দিয়ে
এই দেয়ালের পৃথিবী দেখার সুযোগ পাও,
তাহলে দেখতে পাবে

'কখনো পোস্টার শেষ হয় তো কখনো আঠা,
কিন্তু দেওয়াল কখনো শেষ হয় না!'

ঊৎসর্গ: Martial Jony

আমার মার্শাল আর্ট, নানচাক্কু, লাঠি ও সামুরাই প্রশিক্ষক ব্ল্যাক বেল্ট সেনসাই মার্শাল জনি, প্রধান প্রশিক্ষক, ইয়াং ড্রাগন মার্শাল আর্ট সেন্টার, দ্যা ফাইট ক্লাব,  উত্তরা ও বাইপাস শাখা, চিত্র নায়ক সেনসাই রুবেল, প্রতিষ্ঠাতা ইয়াং ড্রাগন মার্শাল আর্ট সেন্টার, সেনসাই জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ মার্শাল আর্ট জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি ও আমরা যারা দেওয়ালের পৃথিবীতে বাস করেও নিজের শক্তি সামর্থ্য নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য মার্শাল আর্ট চর্চার সাথে জড়িত আছি তাদের সবাইকে। আমরা বিশ্বাস করি, মানুষের মানসিক উন্নয়ন ও স্থিতির জন্য উন্নত শারিরীক কাঠামো ও আত্মরক্ষার কৌশল জানার কোন বিকল্প নেই। তাই মানুষ যদি প্রকৃত অর্থেই উন্নত হতে চায় তাকে মানসিক উন্নয়নের পাশাপাশি শারীরিক উন্নয়ন ও আত্মরক্ষার কৌশলও আয়ত্ত করতে হবে।

প্রেক্ষাপট: সেনসাই মার্শাল জনি যদি আমাকে ফাইট ক্লাবের পোস্টার লাগানোর কাজে সম্পৃক্ত না করতেন তাহলে একজন পোস্টার বয়ের চোখ দিয়ে দেওয়ালের পৃথিবী দেখা হতো না তাই এই লেখাটি সেনসাই মার্শাল জনি ও সব মার্শাল আর্ট লাভারদের উৎসর্গ করলাম।