কবিদের আড্ডা কি আজকাল ফাঁকাই থাকে ? আমার বিগত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা তাই বলছে । তবে মাঝে মাঝে অবশ্য কেউ কেউ যে এসেছিলেন তার সাক্ষর তারা রেখে গেছেন তাদের মন্তব্যে, আমার অভিজ্ঞতা ও অন্যদের মন্তব্য থেকে একটি জিনিস বোঝা গেছে বিগত কয়েকদিন যে বা যারা এসেছিলেন তারা সবাই তখন একাই ছিলেন । দুই জন কবি আড্ডায় দুটি প্রশ্ন রেখে গিয়েছিলেন, আমি আমার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু বলেছি । সেগুলো নীচে কপিপেস্ট দিলাম ।
মাসুম মুনাওয়ার: কেমন আছেন সবাই? হাংরি জেনারেশন সম্পরকে কে কি জানেন বলেন।
হাসান ইমতি : হাংরি জেনারেশন বাঙলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অস্থির সময়ের পরিচায়ক... বিশেষত শক্তি চট্টোপাধ্যায়, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় মলয় রায়চৌধুরী,বিনয় মজুমদার,রবীন্দ্র গুহ প্রমুখ এই আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন।আর তৎকালীন সময়ের অস্থিরতা,মূল্যবোধের অবক্ষয়, অনাচার সব কিছু এই আন্দোলনের কবি ও লেখকদের লেখায় ফুটে উঠেছিল খুব নির্মম এক সত্য হিসেবে ।
ভানু ভাস্কর: নজরুল ও রুদ্র সম্পর্কে বলতে চাই। এঁরা অপরের তল্পিবাহক ছিলেন না। এরা পা চাটতেন না। ধামাধরা কবি নন।
হাসান ইমতি : নজরুল ও রুদ্র তো এদের নামের মতই পরিচিত, নতুন করে আর কি বলার আছে, সত্যিকার কবি কখনো পা চাটা বা ধামাধরা হতে পারেন না, তবে উঠতি ও নতুন কবিদের জন্য চরিত্রের এই দিকগুলো অনেক সময় সাময়িক সমস্যার কারন হয়ে দাড়ায়, এই বৈশিষ্ট্যের জন্য নতুনরা অনেক সময় কূপমণ্ডূক নির্বাচক ও ব্যবসায়ী প্রকাশকদের চোখের বালি হয়ে যান । সুখের বিষয় হল আগুন চিরদিন ছাইচাপা থাকে না @ ভাস্কর ।
আর শেষে একটি প্রশ্ন রেখে গেলাম, কেন জমছে না কবিদের আড্ডা, কে এই বিষয়ে কি মত পোষণ করেন। কিভাবে এই আড্ডাকে ফলপ্রুসু ও সৃজন মুখী করে তোলা যায় ?