কবিবন্ধু অজিতেশ নাগকে নিয়ে মঞ্জুর হোসেন মৃদুলের একটি লেখায় দেয়া আমার মন্তব্যটি শেয়ার করলাম আজকের আলোচনা সভায় ...
“অজিতেশ কি কবিতা আসরে ফিরছে তবে আমি তো ভেবেছিলাম সে সুচিত্রা সেন বা হেলাল হাফিজের শিস্য হয়ে গেছে, সকাল সকাল গরম গরম খুবই ভালো খবর পেলাম, তুমি অনেক পরে এসেছ মৃদুল, এই আসরে আমরা অনেকটা কাছাকাছি সময়ে এসেছিলাম, অজিতেশ, ভানম, বন্দি, পবিত্র, সম্পূর্ণা, শিল্পী আমরা একসাথে সুখে দুঃখে পথ হেঁটেছি, এর ভেতর অজিতেশের সাথে পথটি ছিল বেশ লম্বা, খুবই বন্ধু বৎসল অজিতেশ, আসরে অনেক সময় অনেকের সাথে ঠোকাঠুকি হয়েছে কিন্তু অজিতেশের সাথে সম্পর্ক ছিল সম্পূর্ণ নির্মল, অন্য অনেকের মত আমি কখনো মন রাখা মন্তব্য করি না, আমি যা বিশ্বাস করি তাই বলি, ভালোকে ভাল, মন্দকে মন্দ, তাই অনেক বন্ধুর মত বেশ কিছু শত্রুও আমার জুঠেছিল, একবার তখন একটি গ্রুপের সাথে আমার খুব দ্বন্দ্ব চলছে,আমি একা, ওরা সংখ্যায় অনেক ভারী, আসরে কেউ মন খুলে কিছু বলছে না, এই বিষয়ে সবাই যেন মুখে কুলুপ এটে রেখেছে, প্রথমে আমার পাশে এসে দাঁড়াল দাদা মুহাইমিন নামে এক তরুন কবি, ঐ সময়ে একদিন অজিতেশ মুখ খুলল, আমাকে বলল হাসান লেবু চিপড়ালে শুধু তেতোই হবে, তুমি বরং এবার ক্ষান্ত দাও, এই হল ব্যক্তি অজিতেশ, সব সময় নির্বিরোধী থাকার ইচ্ছে, সবার সাথে মানিয়ে চলা, এ কারনে অজিতেশকে নিয়ে কোন বিতর্ক নেই, সে নিজের একটি সর্বজনগ্রাহ্য ইমেজ তৈরি করতে পেরেছে, এবার আসি লেবু বিষয়ক অজিতেশের মন্তব্যে আমার উত্তর প্রসঙ্গে আমি সেদিন রসিকতা করে অজিতেশকে বলেছিলাম কি বলছ তুমি বন্ধু, সবে তো শুরু, আমি নাহয় দেখি লেবু কতোটা চিপড়ানো যায়, লেবু কতোটা তেতো হতে পারে... অনেক সুখ দুঃখের স্মৃতি, আজ ওরা কেউ আসরে নেই, ফেসবুকে আছে সবাই কিন্তু আসর আসরই, ওদের যে কেউ ফিরলে তাই চলে যাওয়া ভালোবাসার প্রত্যাবর্তনের সুখ পাই ... সাথে অভিমানও হয় ... যে কারো কথা না ভেবে স্বার্থপরের মত চলে গেছে আমার কি দায় পড়েছে তাকে নিয়ে ভাবতে ... পাহাড় জঙ্গল মহাশুন্য কোথায় সে গেছে, আজকাল চাইলে নিয়মিত না হলেও যোগাযোগ রাখা যায় ...সব দায় কি আমার, আমাদের, তার কি কোন দায় নেই, নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য সুচিতা সেনের অন্তরালে চলে যাওয়ার গল্প আমরা সবাই জানি, সে পথে হেটে কবি হেলাল হাফিজও দীর্ঘ দেড় যুগের মত সময় স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন, এই ব্যাপারে সুচিত্রা সেনের কোন মন্তব্য না পাওয়া গেলেও হেলাল হাফিজ নিজের মুখেই স্বীকার করেছেন তার এই অন্তরালে থাকার কথা ঐ কথপকথোনে সুচিত্রা সেনের আদর্শে অনুপ্রাণিত হবার কথাও উনি স্বীকার করেছেন, তাই অজিতেশকে তার এই আচরনের কারন ব্যাখা করতে হবে, আমি আবারও বলছি পাহাড় জঙ্গল মহাশুন্য কোথায় সে গেছে, আজকাল চাইলে নিয়মিত না হলেও যোগাযোগ রাখা যায় ...সব দায় কি আমার, আমাদের, তার কি কোন দায় নেই, সে কি তবে স্বার্থপরের মত শুধু নিজের কথাই ভাবছে, ইচ্ছে হলে চলে গেলাম আবার ইচ্ছে হলে এলাম, তাকে তার এই আচরনের গ্রহনযোগ্য কারন ব্যাখা করতে হবে, নাহলে আর কে কি করবে জানি না, আমি তাকে ক্ষমা করব না, সে অধিকার ও দাবী দুটোই আমার আছে ...