বসে একলা, সমুখে খোলা জানালা,
নিষ্কম্প্র দৃষ্টি আকাশে বিলিন
অলস সন্ধা ছড়ালো শরীর নীলকন্ঠি ঘোলামেঘে
আকাশ প্রদীপ হালকা হাওয়ায় কেরোসিন ফুরানো লণ্ঠনের মত নিভু নিভু
গম্ভির নিঃসঙ্গতা
আমার ভিতরে গ্রাস করে সীমাহীন শূন্যতা
শুধু গহিনে স্মৃতির শুকনো বকুল এখনও গন্ধ ছড়ায় হারানো দিনের
আর আমার গোপন পথে পথে তার পদচিহ্নগুলো এখনও বিরাজমান
অনেক বর্ষার কাদাজলে এখনো মোছেনি দাগ
চাঁদের কলঙ্কের মত তারা জেগে থাকে সারা রাত
আমার নিঃসঙ্গতার রংচটা জোছনায়
যার জন্য বেদন সাগরের নুন মেখে কান্নার ফেনিল ঢেউ
এখনো আছড়ে পড়ে চোখের সৈকতে
দু’ফোটা অশ্রু চোখের কোনায় বিশুষ্ক বাতাসে এখনো শুকায়
তবু আজো সে জানলো না
তারে ভেবে এখনো যুবক এক একা রাত জাগে
গভীর আবেগে
যারে ভেবে এ জগতে নিজের অজান্তে কার
ঝরে পড়ে জোড়া চোখে দু’ই ফোঁটা পানি
জানতে পারে কি সে?
জানতে পারে না সে জানি
যদি এমন হত যারে ভেবে ভেবে মনে
স্মৃতিরে আনব টেনে
হঠাৎ চমকে সে বুঝবে শেষে
ভাবছে কে তারে বসে কোন আঁধারে
ফেলছে দু’ফোঁটা অশ্রু বুকের ’পরে
জানি তা অসঙ্গত তবুও হৃদয় হয় আহত
আকাশ কুসুম ঝরেগেলে।