তোমার আঁকাবাঁকা চলার ভঙ্গিতে
করেছ আমারে জনারণ্যে দিগভ্রান্ত পথিক
মায়া বলে কিছু নাই জগতে
তবু তোমার দৃষ্টির মায়া
আমারে শিশুর মত করেছে বোকা
তোমার চুম্বন আফিমে
আমারে কতবার করেছ মাতাল
আলিঙ্গন মন্ত্রে জীবনের অসহ্য ভার
কতবার করেছ হাওয়ার মত হালকা
বলাকার মত উড়ে গেছি তোমার ভালোবাসার উদার আকাশে
তোমার মনের শাখায় শাখায় বেঁধেছি আমার বাসা
তোমার দেহের বাঁকে বাঁকে কামনার চোরকাঁটা
জড়িয়ে গেছে পালকে আমার
একটা ছাড়াই দুইটা জড়ায়
বেঁধেছ হাত কেমন কড়ায়
পৃথিবী ফেঁদেছে কি মায়াবী নীল ফাঁদ
তারই আবর্তে তাই জন্ম জন্মান্তর ঘুরে মরে চাঁদ
চাঁদের মত আমিও নিরুপায়
তোমার রূপের নীল মায়ায়
ঘুরে মরি আলো আঁধারে
তোমার মনের চারধারে
তাই প্রভু ভক্ত কুকুরের মত সেজেছি তোমার ক্রিতদাস
ভুলে গিয়ে সমাজ সংসার ধর্ম বা ঈশ্বর—সকল ঐশী বানী
আদিম সূর্য্-পূজারির মত তোমারেই পূজনীয় সূর্য্ মানি
তোমার ভালোবাসা আমার অষ্ট বেহেস্ত
তোমার ঘৃণার আগুন আমার সপ্ত দোজখ
তোমার পূজার অর্ঘ করে জীবন জৌবন যাকিছু আমার সবি—
করেছি সমর্পন তোমার স্বর্গ লাভের তরে
তাই যদি তোমার ভালোবাসা পাই
সকল স্বপ্ন লুটাব ধুলায়
যদি ও মন্ত্র মু্গ্ধ আলিঙ্গনে বাঁধো
সকল আনন্দ আমার পোড়াব চুলায়
জীবন আমার পুতুলের মত তোমার দুহাতে দেব তুলে
যেমন ইচ্ছা খেলো তুমি যেমন ইচ্ছা জ্বালো
শুধু অনুরোধ ফেলোনা আমায় খেলা শেষে অবহেলে
অবোধ শিশুর মত নিষ্টুর বিধাতার নিয়তির খেলায়