আমার দু’চোখের স্নায়ু যুগল
আজ আর খায় নাকো দোল
মালতী লতার মত পিয়ালের শাখায়
অপরূপ কোন রূপের হাওয়ায়
যে দিন তোমার মুখের সৌন্দর্য উদ্বেল সমুদ্র হতে
একরাশ ঝোড়ো হাওয়া
আমার দৃষ্টির অরন্যকে করেছে আহত ।
আমার নাকের মোহনায় জমেছে এক দুর্গেয় বদ্বীপ
কোন গন্ধের স্রোত ঢোকেনাকো আর আমার সাগরে
যেদিন তোমার কালো চুলে ফোটা
অজস্র অনামা ফুলের অনুপম গন্ধের নদী
বয়েছিল আমার ঘ্রাণেন্দ্রিয়ে ।
আমার শ্রুতি আজ হয়েছে অপশ্রুতি
যাকিছু সুর সুমধুর
সবিযে বেসুরা লাগে
এমন ছিলনা সে
তোমার কন্ঠের আড়ালে লুকানো অর্কেস্ট্রা হতে
বিচিত্র সুর আমার শ্রুতিতে যাওয়ার আগে ।
আমার রসনা আজ হয়েছে স্বাদহীন
জগতের যত স্বাদ সবিযে বিস্বাদ লাগে
এমনকি স্বর্গের সুরাও বুঝি আর রসনাকে করবে না রঙিন
যে দিন তোমার জিহ্বার নোনা স্বাদ লেগেছিল আমার জিহ্বায়
ভারি গভীর গাঢ় চুম্বন ক্ষণে
জীবনের সব চেয়ে রঙিন লগনে ।
সে এক অনির্বচনীয় স্বাদ
বর্ণনার ভাষা যার সৃষ্টি হয়নাই আজো জগতে
সে স্বাদ একবার পেতে
মৃত্যুকে বুক পেতে শতবার পারি আমি নিতে ।
আমার ত্বক আজ হয়েছে অবশ
কোন স্পর্স আর জাগায় না কাতরতা
আমার শরীরে মাংসের গভীরে ছড়ানো যে জাল
সে জালে পড়েন্ ধরা কোন রোমান্সের সোনালি মাছ
ছিড়ে ফেলেছ সেদিন তুমি এ শরীরের জাল খানি
কাসের গুচ্ছের মত কোমল তোমার শরীরের মাতাল ছোয়ায়
তুমিযে আমার নেই এখন আর
তাই বন্ধ হয়ে গেছে আমার পাঁচটি জানাল
আমার ঘরে তাই আজ কয়লার মত জমেছে আঁধার
সেই আঁধারে একাকি বসে আমার এ দুটি হাত
ছুয়ে ছুয়ে দেখে তেমার দেওয়া সে
নীলা চুনি পান্না হীরা জহরত