প্রণয়ের ব্যাকরণ
হাসান মাহমুদ
প্রণয়ের ব্যাকরণ যদি পড়তে হয় এই তব
প্রণয়ের পদপ্রকরণ আগেই পড়তে হইব।
যেমনি পড়ি বিশেষ্য, বিশেষণের সংজ্ঞা
বুঝিতে বুঝিতে পরিচয় হয় না বুঝার অবজ্ঞা।
বিশেষ্য বুঝিতেই সময় কেটে যায় তার উপরে সর্বনাম
কালে ভদ্রে ক্রিয়া বুঝি, যোজক বুঝিয়া হইল বদনাম।
কখন করিব সন্ধি আমি দ্বন্দ্ব সমাসে নাই জ্ঞান
সমসা বদ্ধ পদ গুলি সব, আমায় করিলো অজ্ঞান।
তুমি আমারি শূন্য কারকে সপ্তমী হইয়াও দূর,
বাক্য সংকোচনে কত কইলাম হৃদয়েরই সুর।
হিন্দি,বাংলা, আরবি কত বুঝাইলাম ইংরেজি,
সংস্কৃতি বুঝিয়া বুঝিয়া কহিলা বিষাদে সাজি।
ভাব-সম্প্রসারণে কত লিখিলাম কিঞ্চিৎ ভালোবাসা
সারমর্ম লিখিলাম,সারাংশ লিখিলাম সংকোচিত ভাষা।
অশুদ্ধ বানানেও শুদ্ধ আনিলাম শুদ্ধ করে লিখে,
ভুরু কুঁচকে মুচকি মুচকি দিলে আহ্ ফিকে।
অতশত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে ব্যাকরণে হয় ভুল
কারক,সন্ধি,সমাস,ধাঁধায় উঠিয়া যায় চুল।
সর্বোপরি চিঠিতে লিখে বলি সকল কথা,
তাতেও তোমার হইলো না বুঝি কহিলা মনে ব্যথা।
দরখাস্ত লিখে মঞ্জুর করিলাম সকল আবেদন,
রচনায় লিখি প্রণয়ের ব্যাকরণ করি নিবেদন।