জীবনের মেলা
হাসান মাহমুদ
জীবন গিয়ে থেমেছে যেখানে
সেখানেই জীবনের পথ,
এই যে থামা চলার মাঝে
পাড়িয়েছে দিগন্তের কত হ্রদ!
কত আঁকাবাঁকা আল
কত কাটাহেরি ক্ষান্ত সময়
আবার চলেছি পিলপিল পা
যদি আষাঢ় দূর চলে যায়!
জীবনের শেষ গন্তব্য বহুদূর
কত কাঁটা বিঁধিবে পায়ে
কত শোণিত ঝরিবে পথে;
ওষুধ বিনা হইবে আবার ক্ষান্ত
কত স্বপ্ন ভস্ম হইবে রাতে!
এই সকল বেদনা বিধুর মন
ভাবিয়া ভাবিয়া হই সারা
কত ঠেলিবে আপনা পা
কত অবহেলা করিবে অবহেলারা?
তবুও আবার দাঁড়িয়ে বলতে হবে
আছি আছি তোমাদের মাঝ
সকলে ভুলিলেও আমি লই;
প্রার্থনায় নাম সকাল সন্ধ্যা সাঁঝ।
আমিও ডাকিয়া বলি সকলে
আমারে দিয়াছে সুপ্ত গোলাপ কাঁটা
আমি তাহাদের দেই ভরে
আমারি হৃদয়ের স্নেহ, মায়া যত আঁটা।
আমারে ঠেলেছে যেজন পায়ে
আমি তাহারে রাখি অন্তর অন্তরে,
আমারি ঘরে যেজন জ্বালাইছে অনল
তাহার ঘর ভরে দেই শীতল নীরে।
জীবনের পথ তো বহুদূর
গোলাকার এই নিঃস্ব পৃথিবী;
প্রাপ্তির স্থান শূন্য শূন্য মিছে
রাতের আঁধারে মতো আসা গরবী।
ভোরের নিস্তব্ধতার মত একাকী
দুপুরের উত্তপ্ত মাঠের মত ক্লান্তি,
সুর ফেলা দক্ষিণা সমীরের মত শান্ত
শুধু হতাশার মত ছুটা এক ভ্রান্তি।
তবুও ভুল নিয়ে আমারি এক চলা
ভুল ভুলে শূন্য শূন্য খেলা,
সকলের মাঝে অযথাই হাসি বিলি
অতৃপ্ত রসায়নে জীবনের মেলা।