আমি সবুজের প্রান্তে অনন্তকাল হারাতে চাই,
আমি ডানে-বামে, সামনে এগিয়ে যাই
হঠাত পিছন থেকে ডেকে উঠে কতো গুলো প্রাণ,
পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখি সবুজের বুকে-
থোকায় থোকায় লাল, এতো সুখের মাঝেও
লুকিয়ে আছে কষ্ট ভূবিস্তৃত; পিছনের সবকিছু শোকের মতো।
দৃষ্টি নত করে পেরিয়ে যাই সবুজের খোলা প্রান্তর,
তবুও সেই বিস্ফোরিত চোখ শূন্যে ভেসে আসে,
মাইলকে মাইল দূরে এসে আলিঙ্গন করে!
জ্যোৎস্নার আলোর মতো সবুজকে জড়িয়ে ধরে রক্ত লাল।
হাজারো ব্যস্ততা কোলাহলের ভিরে ভেসে যায় দেহ পোরা গন্ধ-
ছাই বাতাস! বঙ্গ মাতার সন্তানদের মাথার খুলী, শূন্যে পরে থাকা
নির্ঘুম হাজারো জোরা চোখ অনন্তকাল লক্ষকরে আমায়,
তাদের স্পর্শে কতোটা হই স্পর্শকাতর।
এ যেন গভীর রাতে বাতাস ছারাই শব্দহীন কোন গাছের
পালক খসে পরার মতো, ওদের চাওয়া গুলো এতোটাই প্রখর ছিল
যেমন গ্রীষ্মের প্রখর রোদে চোখ বন্ধ করেও সবকিছু আলোকৃত মনে হয়।
ওরা ছেয়ে থাকা নরম সবুজে মুত্যুর স্তূপে রক্ত জমা,লাল জামা গায়ে
দাঁড়িয়ে আছে কোমর ডুবিয়ে- বাতাসের সাথে প্রতিটা নিশ্বাসে রক্তের গন্ধ পাই,
এতো সবের পরেও তাদের কে ভুলতে বললে
আমি আর এ পৃথিবীর কোন কিছুই মনে রাখতে পারবনা।