পাহাড়ের পাদ দেশে সবুজ ঘন সুপারীর বন,
গোধুলীর নীল আভা উকি দিয়ে ডুবে গেল।
পরিখার পাড়ে বসে, নীল আভা চোখে মেঁখে,
ভালবাসি যতবাসি দুর দেশে পরবাসী।
অরুনের আলো হাসে কালো মেয়ে খোলা কেঁশে,
পাশ দিয়ে হেটে গেল দেবজানী শশীলতা বুঝি।
কবে দেখেছি বুঝি, বঙ্গের কোন এক গাঁয়ে,
মেঠো পথ আঁকা-বাঁকা, মেঘে ঢাকা গাঁয়ে।
আজি দুর দেশে পরবাসে অনুভবে চোখে ভাঁসে ছবি,
কালো মেয়ে, কালো কেঁশি দেবজানী শশীলতা তুমি।
তিন অযুত ক্রোশ দুরে, মন ছুটে যায় তোর নিড়ে,
লিচু গাছে লুকোচুরি, এলো মেলো উকি ঝুকি।
মনে পড়ে সে দিনের কথা, ললাটে চুম্বনের ফাঁটা,
দু’জনের উতরাতরী হৃদয়ের মন্দিরে বাজিল ঘন্টা।
বসন্ত প্রথম ফাল্গুনে নন্দনের দক্ষিনের দুয়ার,
মালা গেঁথেছি আজি তোমারে সপিতে উপহার।
আজি বন্ধনের খড়া চলে চৈত্রের খরতাপে,
ভালবাসার কলমে লেখে ছিলাম ঝড়া নাম হৃদয়ে।
ঝড়া ফুল হয়ে ফুটিল কাননে শিউলী জবার পাশে,
আজি খুজি কালো কেঁশি দেবজানী শশীলতা তুমি।
জোন্সা রাতে চাঁদের সাথে অজানা কিছু কথা,
কুসুম গুলি দিয়েছো নাকি বাসনা বাঁশরী হেতা।
ব্যার্থ জীবনের সেই কয়খানী পরম সুখের কথা,
সুখে দুঃখে বাসিব বাসা একাকার হব মোরা।
চাঁদের আলোতে ভরেছে ঘর জোন্সা ছায়া আলো,
ব্যার্থ জীবনের কয়খানা কথা লেখেছি তোমার দেশ।
গগন কুজ্ঞে তারার মেলা আলোক রাশি ফোঁটে,
চুপি সারে গল্প করে সারা রাত ধরে ওরা।
উতপ্ত যৌবন মোহ রৌদ্রে জ্বলিল জ্বালা,
সন্ধ্যাকাশে ফিরিলে নিড়ে দেবজানী শশীলতা তুমি।
=============