চাঁদ উঠেছে, চাঁদ উঠেছে, বকুল গাছের পাড়ে,
চাঁদের আলোয় ভরিয়ে গেছে কাননখানী জুড়ে।
পরীর ডানায় চাঁদের আলো রঙিন আভা মেখে,
পূর্ণিমাতে চাঁদের আলো গগন গেছে ভরে।
মায়ের কোলে খোকন সোনা কতই গল্প শুনে,
শোলক বলা ময়না দিদি কতই কিচ্ছা বলে।
চাঁদের হাঁটে বেচা কেনা নীল পরীরা ওঠে,
খোকন সোনা মায়ের কোলে গল্প শুনে ঘুমে।

পূর্ণিমাতে চাঁদের আলো ছড়িয়ে গেছে দিকে,
নিশি রাতে মোহন বাঁশি বাজায় মনের সুখে।
জ্বীনপরীরা উড়ে এল মোহন বাঁশির সুরে,
চাঁদের আলোয় নৃত্য করে মোহন বাঁশির সুরে।
পরী নাচছে জোড়ায় জোড়ায় একলা বাঁশির সুরে,
পারছি না আর একলা সুরে কোথায় খুঁজি তোকে!
আয় ছুটে আয় বট মূলে বাঁশির সুরে সুরে,
পরী নাচছে খালী পায়ে মোহন বাঁশির সুরে।

নিশি রাতে নিদ্রা ভাঙ্গে বাঁশির সুরে ক্ষণে,
দৌড়ে ছোটে বটের মূলে মোহন বাঁশির সুরে।
দুরের বাঁশির সুরে সুরে মিলায় তালে তালে,
জ্বীনপরীরা নেচে গেল চাঁদের আলো রাতে।
চাঁদের আলো ফুঁড়িতে এল, জ্বীনপরীরা উড়ে গেল,
রাখাল ছেলে ঘুমিয়ে গেল মোহন বাঁশির বাদক।
অন্ধকারে বটের মূলে সহোদর ঘুমিয়ে পড়ে,
ভোরের আলো ফুটিয়ে গেল নিদ্রা ভাঙ্গে চোখে।
=========================
গ্রামঃ টুপিপাড়া, পোঃ খামার পাড়া বাজার।
থানাঃ শ্রীপুর, জেলাঃ মাগুরা।
বাংলাদেশ।