দলে বলে ঘূর্ণিপাকে ভন ভনিয়ে চলে,
বনের মাঝে গাছের ডালে আসন পেতে বসে।
ফুলে ফুলে ছুটে বেড়ায় দিনের ক্ষণে ক্ষণে,
একলা চলে ঘুরে ফিরে পথ হারাই না ভুলে।

দিনে দিনে গড়ে তোলে মৌয়ের ডালা সাঁঝে,
সরিষা ফুল, লিচু ফুল সর্ব ফুলে ঘোরে।
ডালার ফাঁকে ফুলের মধু জমায় তরে তরে,
মৌয়ালরা ঘোরে ফেরে মধুর অন্বেষণে।

মৌয়ালরা ছুটে আসে কাস্তে ধামী হাতে,
খড়ের বড়া ধোয়ায় জ্বালা সইতে নাকো পারে।
মধুর ডালা ছেড়ে দিয়ে ভন ভনিয়ে ওড়ে,
মৌয়ালরা মধু নিয়ে সট্‌কে পালায় দূরে।

বাদায় মাছি গাছের ডালে মৌয়ের চাকে ঝোলে,
দুষ্ট ছেলে ঢিল ছুঁড়ে দৌড়ে পালায় ঘরে।
গর্জে ওঠে বাদায় মাছি দিগ্বিদিক খোঁজে,
পথচারী শিশু কিশোরের হুল ফুটিয়ে ফেরে।

মৌ চাষীরা খামার করে মৌয়ের খাঁচা বুনে,
সরিষা ক্ষেতে লিচু ফুলে ধুণে ফুলে ফুলে,
ফুলের মধু চুষে নিয়ে মৌমাছিরা আসে।
সন্ধ্যা বেলায় মৌমাছিরা আপন ঘরে ফেরে।

মধুর মোমে তাবিজ ভরে, অন্ধকারে শিখা জ্বলে,
গোপন রোগের মহা ঔষধ জ্ঞ্যানিগুনি জানে।
মধু হলো মহা ঔষধ সর্ব লোকে জানে,
নবজাতক চোখ ফুটিলে মধু খাওয়ায় মায়ে।
=====================
গ্রামঃ টুপপিাড়া, থানাঃ শ্রীপুর,
জলোঃ মাগুরা, বাংলাদশে।