কোন এক শীতের সকালে,
তুমি এসে দরজার কড়া নাড়ালে,
বললাম ভিতরে এসো।
হাতে তোমার অজস্র ফুল,
বলিলে সবটুকু তোমাকে দিলাম।

কোন এক ফাগুনের বসন্তে,
তুমি এলে হলুদ হিমু হয়ে।
চুলের খুপায় রাধাচুড়া,
হালকা হলুদ শাড়ী পড়ে।
মন ফাগুনের আগুন ঝড়া দিনে।

কোন এক গ্রীষ্মের খরতাপে,
তুমি এলে গ্ল­াস হাতে লেবুর জল ভরে।
তালের পাখায় হিমের হাওয়ায়,
বইয়ে দিলে ঝড়ের বেগে,
বৈশাখের ঐ হিমেল হাওয়া গায়ে।
হারিয়ে গেলাম তোমায় নিয়ে,
ঝড় বৃষ্টির অথৈ আধার রাতে।

কোন এক বর্ষায় বারী ঝরা মেঠো পথে,
তুমি এসে হাতের ছাতা বাড়িয়ে দিলে।
বৃষ্টি ভেজা চুলে, আচল মুছা দিলে,
ভুলিয়ে দিলে  হাতের হিমেল পরশ দিয়ে।

কোন এক শরৎ কালের কাশের বনে,
মেঘের ভেলা হিমেল হাওয়া বইয়ে দিলে মনে।
কাশের ছোঁয়া নরম পরশ পেয়ে,
তোমায় নিয়ে হারিয়ে গেলাম দূর আকাশে,
মেঘের ভেলায় ভেসে কাশের ছোট বনে।

কোন এক হেমন্তের গোধুলী লগ্নে,
তুমি এলে লাল শাড়ীতে গাঁয়ের বধূ সেজে।
নতুন ধানের ফাঁপা পুলি পাটিসাপ্‌টা স্বাদে,
আমায় তুমি ভুলিয়ে নিয়ে, তোমার হৃদয় জুড়ে।
====================
তারিখ ১৭/০৭/২০১৭ খ্রীঃ
টুপিপাড়া, শ্রীপুর, মাগুরা, বাংলাদেশ।