পেলাম তখনই- যখন দেখলাম তোমার পবিত্র শরীরে
এখন কালসিটে দাগ, লেগে আছে দু:শাসনের লোলুপ আঙ্গুলের ছাপ।
মনে পড়ে যায়, কেড়ে নেয়া সুখ,আলোকিত জীবন।
ধিক্কার দিবো!?
কাকে?
বছরের পর বছর ঘুরে,সেই তুমি হাজারো মানুষের ভিড়ে,
তোমাকে সুখী ভাবতে ইচ্ছে হয়, যদিও কালসিটে দাগ
সাক্ষী দেয়,শতাব্দীর সর্বাধিক অসুখী মানুষ তুমি।
তোমার লুন্ঠিত লজ্জা আমাকে আত্মসুখের জরীনমহলে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো,
এক পাহাড়ি নারীর হাতে বানানো মদের নেশায় আমি তখন
আপাদমস্তক অন্যত্র তাকিয়ে ছিলাম। আহা! কতকাল পর,
কতকাল পর দেখছি তোমাকে।
হেসেছি ঘোরের মধ্যে, মনে হয়েছে সেইসব পুরোনো দিনের মত
তুমি এসেছো,বসেছো মুখোমুখি।এবার মুখ ফেরাইনি,
তাকিয়েই ছিলাম। নির্জলা মেঘের কাছে তোমার কিছু চাওয়ার নেই,
জল ঝরেনি,মাটি ভেজেনি,আমি জানি তুমি হাসিটুকুও চাওনি।
হ্যাঁ, তুমি এসে আমায় বড্ড আলোড়িত করেছো।
তোমার গিরিশৃঙ্গ, তোমার প্রজাপতি নদী আমাকে টানেনি,
যতটা টেনেছিলো তোমার বসে থাকার বঙ্কিম ভঙ্গি,
যতটা আমাকে গ্রাস করে অপরাপর নারী,
যতটা প্লাবিত করে,
তার চেয়ে ঢের বেশি,
আমাকে নতুন করে
গ্রাস করেছিলো,তোমার হঠাৎ আসা,
প্লাবিত করেছিলো মুখোমুখি বসা,
তুমি,এই মানুষটির চেয়ে আর কোন মানুষ আমাকে
টানেনি এই জগতে।
©
হাসান কামরুল।