হাতি চলে ‘গণেশ’ সেবায় শুঁড়ে ফুলের মালা
পেছনে কারা যেন চিৎকার করে, কান হয় ঝালাপাল।  
চুপটি করে সরে দাঁড়ায় কেউ, সরু রাস্তার বাঁকে
পেছন থেকে কেউ ভোঁকে যায়, কেউ প্রনাম করে ঝুঁকে।
হাতি চলেছে নিজের তালে, নিজ কর্মে মজে
পরের কথায় কান দেয় না সে, মনের শান্তি খুঁজে।
‘গণেশ’ কহে কুকুরের কানে, তুমি ভোঁক’ছ কেন বাজে  
তুমিও করো ভজন সাধন চলবে হাতির সাথে।
কুকুর কহে কারন শুধু ভজন সাধন নয়
হাতির সামনে সবাই ঝুঁকছে এটাই জ্বালা গাত্রময়।
“গণেশ” কহে তায় যদি হয়, তবে ভোঁক হাতির আগে  
সামনে বৃথায় ঝুঁকছে যারা যদি কিছুটা জাগে।
কুকুর কহে তোমার কথায় ভূঁকবো হাতির আগে!
পাগল নাকি! আছাড় মেরে হাতি আমার দেবে কোমর ভেঙ্গে।
দূরে দূরে এই ঠিক আছি, কি হবে, কি জানি কখন
যদি হাতি ঘুরে দাঁড়ায় লেজ গুটিয়ে দ্রুত করবো পলায়ন।
‘গণেশ’ কহে হাতির কানে, শান্ত দেবালয়;  
তোমার কোন রাগ হয় না ? এই যে লোকে কত কথা কয়।
হাতি কহে না প্রভু, তুমি তো আমার বুকে
বলুক না হাজার কথা, পাড়ার হাজার লোকে।  
আমার কাজ তোমার সেবা করছি আমি সুখে
আমি কিচ্ছু ভাবিনা প্রভু, কে পেছনে ভোঁকে আর কেই বা সামনে ঝুঁকে।  
আজকে যারা পেছনে ভোঁকছে, কাল সামনে হয় তো ঝুঁকবে  
সামনে এখন ঝুঁকছে যারা, আমি কাদায় পড়লে তারাই আবার উল্টো পথে হাঁটবে।
==========================================    

কবিতার রসদঃ
আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে প্রাপ্ত বিশেষ অভিজ্ঞতা থেকে আমার এই কবিতার জন্ম।