আমি আকণ্ঠ গরল পান করে যায়  
কালমেঘের ত্বরঙ্গে
আমি দগদগে আগুনে জ্বলতে থাকি
কয়লা খনির অঙ্গে।
আমি পাহাড় থেকে মরুতে ধায়
তীব্র ঝড়ের বেগে
আমি নটরাজের নৃত্য করি
সারা রাত্রি জেগে।    
আমি অপমানকে হাতিয়ার করে
জীবনের গান গায়
আমি রণাঙ্গনে ঝাঁপিয়ে পড়ি
জয়ের আকাঙ্ক্ষায়।
আমি সাগরের উত্তাল জলোচ্ছ্বাসকে
নিজের বক্ষে ধরি
আমি কালিয়া নাগের মস্তকে উঠে
পদাঘাত করি।  
আমি ক্লন্তিগুলোকে ধুয়ে মুছে দেই
বর্ষায় শ্রাবনে
আমি তেজে ভরে উঠি নতুন সূর্যের
রক্তিম কিরনে।
আমি ভুলগুলোকে ঠিক করে তুলি
নতুনের শিক্ষায়
আমি ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে
আগামীর দিকে ধায়।
আমি পাহাড় চেরা নদীর মতো
তীব্র হড়কা বান  
আমি ব্জ্র কণ্ঠে হুঙ্কার ছাড়ি
থরহরি কম্পমান।    
আমি জয় উল্লাসে মৃত্যুর কাফন
বেঁধেছি নিজের মাথায়
আমি নিজের জীবন আহুতি দিতে
নিজেই চিতা সাজায়।
আমি দুর্গম পথ পরিক্রমা করি
কঠোর পরিশ্রমে
আমি নির্ভীক আমি যেতে প্রস্তুত
গুলি কামানের সামনে।
আমাকে পিছে ধরে আটকায়
এমন সাধ্য কার?
আমি উল্কা আমি অগ্নিপিণ্ড
জ্বলে হবে ছারখার।  
আমার পাষাণ হৃদয় সিক্ত করে না  
কাপুরুষের রক্ত
আমি উচ্ছল আমি যৌবন
আমি দেশমাতৃকার ভক্ত।
===================