মুনার মাই, এ মুনার মাই?
বলি কুথাগেলি গো…  
বাইরাহ ন বাহিরটার দিগে।
ঘরের ভিতরেই কি গুঁদুর গুঁদুর কৈচ্ছ
এক গালাস জল আন দেখি।
সেই কখন টুকু হাঁইড়া খাঁয়েছি ভেলা তলে,
যা ঠাটরা রোদ বাপরে বাপ!
একটু জিরাইঞলি হাঁইসা গড়ায়।  
আর হ্যাঁরে ভুটা…
তুই কি খাড়ি ছুঁলে বুলছিস?  
ছাগলগিলা ভেবাছে নাই দেখতে পাছিস
দুটা পালহা ত দিতে পারিস।
আর তর মাইকেও বলি…
ছেল্যাগাকে নাই পাঠাতে পারিস স্কুলে?
শালা লকের ছানা খাইল দাইল
বই বস্তা লিল স্কুল গেল।
আর হামার ছেল্যা ধমসা খাড়ি ছুইলছে।
কি বলছিস মুনার মাই…
হামার কথা!
হামি তো হাঁইড়া খাইয়েই…  
হামি কি আজ খাছি?
যখন দু টাকা কেজি চাল দিথ নাই,
তখনও খাঁয়েছি, আর এখনো খাছি।
বাঁদনা পরব লইজকাঞ গেল,
হাঁইড়া খাব, ঝুমুর গাইভ, নাইছব ইটা হামদের পরব বঠে।
দেখ বেটা ভুটা…
ঐ হাজার টাকার শিল্পি ভাতার পেছায়,
নেজ উঠ্যাঙয় ইনড়কাইস না
হামার কথা শুন পড়াশুনা কর মন বসাঁয়
এই লুল্পুশানিতে ভুলিস না।  
হামদের গান ঝুমইর হাস আমদ-এর জিনিস বঠে,  
ব্যাবসা করার জিনিস লহে
চাকরি বাকরি যে হবেক সে আশা নাই,
কিছু করিঞ খাতে হলেও এখনকার দিনে টুকু আধে পেটে বিদ্যা দরকার।
সেই হঙতে বলছি পড়াশুনাটা কর ভাল মন্দটা বুইজতে পারবি।
যাস! শালা…
হামি একায় গজর গজর করছি!
ছেল্যাটা পালাইঞ গেছে…
যাক ভালোই হইঞছে।
বলি এ মুনার মাই…
ফেনটাই টুকু নুন দিয়েঞছিস
ন শুধু ফেনটা দিয়েঞছিস গো।
দেখি টুকু চংচায়লি…  
আহ! বেড়ি জুইত লাইগল
রোদেরনু আসিঞ পান্তফেন একবাটি খাঁইলিলে,
কি আরাম।  
বলি এ মুনার মাই, তর মনে আছে?
তুই তখন এত টুকু ছিলি
হামি বাঁদনা পরবে, তদের গাঁ নাছতে গেছলি
তুঁই চোইখের ইশারায় হামকে কাছে ডাকেঞ কি বলেঞ ছিলিস?
তুঁই বলেঞ ছিলিস ন এই ছ্যেলা তর ঘর কথা,
তকে আমি ভালবাইসব তুঁই কাঁঠি নাচ দেখাতে পারবি?
বলেঞ ছিলিস ন, মনে আছে তর?  
বাঁদনা পরব আলেই দমেই মনে পড়ে তর সেই কথাটা।
তুঁই কথা দিয়েঞ কথা রাখেঞছিস সেই জন্যই তকে আমি এত ভালবাসি।
সেই গানটা আমার বড় মনে পড়ে বাঁদনা আলেই…
যেটা তকে সেদিন শুনাই ছিলি।
তুঁই যে আমার মনের কলি
তুঁই যে ফুটা ফুল
তুঁই যে আমার মন বাগানের
সাধের গাঁদা ফুল গো সাধের গাঁদা ফুল।
বাবা লো… শরীরটা ঝিঞ্ঝিনায় গেল।
---------------------------------------