কাঠ বেকার হয়ে আগাছার মতো
সংসারে বেঁচে থাকি
বাবার হোটেল --
যতদিন চলে চলুক ৷
কেবল বেঁচে থাকবার কয়েকটা কাগজ
মধুছন্দার কাছে পেয়েছি
ও আমাকে বাঁচার পাটীগণিতে
কঠিন কতকগুলো সুদকষা আর
লাভ-ক্ষতির জটিল সমাধান শিখিয়েছে৷
সেই পাটীগণিতের ভেতরে ভালোবাসার বীজগণিতের অসংখ্য ইক্যুয়েশণ
প্রতি দিন বুকের রক্তসঞ্চালনে
সব কপাটিকাগুলোতে মধুছন্দার মনের সম্পাদ্যের জ্যামিতিক ব্যাসার্ধ বেড়ে ওঠে৷
সংসারে আরো অকেজো হয়ে
যেতে থাকি আর
মধুছন্দার মধুর ছন্দে কর্মঠ হয়ে উঠতে থাকলাম৷
হৃদয়ের গোপন ডেরায় নিষিক্ত হতে থাকে
দুজনের একান্ত জৈবনিক তরঙ্গগুলো৷
আমি গাছ হতে চেয়েছিলাম আর
মধুছন্দা মৃত্তিকা,
মধুছন্দা পাখী হতে চাইলে
আমি আকাশ---
এভাবে আমার আকাশে
মধু পাখা মেলেমেলে--উত্তর-দক্ষিণ,
পুব-পশ্চিম সারা দিগন্তে
ভাসতে থাকলো৷
মধুছন্দার জীবনে আমি মৌলিক গুণনীয়ক
হয়ে সংখ্যাতত্বে বাঁধতে থাকি নবজীবনের
স্বপ্নের বাসা৷
অসহায় হয়ে ধিকি ধিকি বাবা-মায়ের
সংসারে বোঝার ভার পরিমাপ করতে থাকি৷
বেকার জীবনে ভালোবাসার গণিতে
মেলাতে থাকি আপন অঙ্কের স্থানীয় ও প্রকৃতমান,
সারারাত দুঃস্বপ্নের করাল ছায়ায় যেন
জাহান্নমে যেতে চলেছি,
যেন মধুছন্দার ছন্দগুলো
আবেগের উর্ধমুখী বেগে মুখ থুবড়ে
ফেলে দিতে চলেছি ৷
ভালোবাসার বাস্তব স্থায়ীত্বে কফিন বন্দী করে
এগিয়ে চলেছি আমার আর ওর নতুন জীবনের
শপথ গুলোকে.....