রাত দুপুরে উঠলো জেগে হুতুমপুরের কেতু ,
বলছে ডেকে--সবাই দেখো স্বর্গে যাবার সেতু ,
ট্যাক্সি লরি বাসগুলো সব তাহার উপর দিয়ে--
যাচ্ছে ভণ্ড, প্রতারক আর সন্ত্রাসীদের নিয়ে ।

গবাদিরা যাচ্ছে সবে দল বেঁধে সব স্বর্গে !
চড়ুইভাতি করছে এখন মৃত দেহ মর্গে ,
হল্লা করে খেয়ে দেয়ে মিছিল করে যাবে ,
কিডনি পাচারকারি যারা,তাদের ঘাড় মটকাবে ।

তাদের ধরে পাঠিয়ে দেবে স্বর্গ-হাসপাতালে--
ধর্ম নিয়ে দেশ বিদেশে যারা আগুন জ্বালে ;
হাসপাতালের পাগলা সেলে হবে ওদের ঠাঁই ,
গোলক-ধামের থার্ড ক্লাসেও জায়গা বেশি নাই ।

খাদ্য-পথ্য-ঔষধেতে ভেজাল মিশায় যারা--
টাকার জোরে কিনে টিকিট প্রথম শ্রেনীর তারা---
ফূর্তি করে রাত কাটাচ্ছে স্বর্গ-প্রেমোদ্যানে ,
সন্ত্রাসীরা মিলছে সেথা আড্ডা-গল্প-গানে ।

স্বর্গে আজও রাজতন্ত্র,আদ্যি' প্রশাসন ,
নেতা নেত্রী গিয়ে সেথা করছে দল গঠন ;
বৃদ্ধ রাজার নেই অবসর, করলো গদিচ্যুত ,
ঘটলো বদল স্বর্গ রাজ্যে আমূল অতি দ্রুত।

কেতু বাবু চায়না যেতে স্বর্গ ধামের পথে ,
বসলো উঠে নরকগামী পঙ্খী ঘোড়ার রথে ;
গিয়ে দেখে নিরিবিলি,একটিও নেই লোক ,
ছড়িয়ে আছে কত অফার কত শত স্তোক ।

কেউ তো সেথা চায়না যেতে তাই এত অফার ,
নানান জাতের ফলের সাথে ঝুলছে যে আনার ;
নরক ছেড়ে কেতুবাবু আর তো যেতে চায়না ,
লোকের শুধু স্বর্গে যাবার জন্ম থেকে বায়না ।

নরকেতে নেইতো দূষণ , মুক্ত শুদ্ধ হাওয়ায়
কেতুবাবু ভীষণ খুশি অযাচিত পাওয়ায় ;
হাসছে কেতু মিছিল দেখে--সবাই যাচ্ছে স্বর্গে ,
মনে মনে বলছে ওদের----স্বর্গে গিয়ে মর গে ।

           ====সমাপ্ত====