সংকীর্ণতার গণ্ডী ছেড়ে (যাও) অসীমতার দিকে---
কান্ডার ধরে পাল তুলে নাও এগিয়ে ডিঙিটিকে।
ক্ষুদ্র কোঠার বদ্ধ দোরে পশেনা তো রবির আলো ,
অন্ধকারে থেকে থেকে হৃদয়ে লিপ্ত হবে কালো ।

উদারতার জ্যোতিধারা ছড়িয়ে পড়ে ভুবনলোকে ,
বন‍্য পশুর গুহার ভেতর আলোকরশ্মি কভু ঢোকে ?
অন্ধকারেই জন্ম লভে হিংসা-দ্বেষ আর লোলুপতা ,
যেখান থেকে পালিয়ে বাঁচে উদার হৃদয়ের মানবতা ।

কূপমণ্ডূক জানেনা তো বাইরে আছে বৃহৎ জগত ,
চার দেওয়ালে বন্দী তারা চিনতে নারে আলোর সুপথ ;
অবচেতন বিবেকহারা খোঁজেনা সে জ্ঞানের আকর ,
তোতা পাখির মতো তারা শেখে কথা-শব্দ-আখর ।

ভেঙে ফেলো যত আছে অন্ধকার ওই গুহার প্রাচীর ,
ছিঁড়ে ফেলো সংকীর্ণতার যতই হোক পোক্ত জিঁজির ,
বেরিয়ে আসো সবে মিলে আলোক ধারার সাগরেতে ,
আসল রত্ন----ধনের হদিস মনে প্রাণে চাইলে পেতে ।

যদি মানবতার তরী চড়ে সবাই মিলে যাই পেরিয়ে---
মানবতার ললিতবাণী স্পষ্ট করে যাই শুনিয়ে---
উদারতা দেখায় দিশা মানবতার সঠিক পথের ,
মহৎ কাজের বন্ধ করা দরজা খোলে মনোরথের।

সংকীর্ণতার চৌহদ্দিটা অন্ধকারেই ঢেকে রাখে ,
অজ্ঞানতার শীতলতা সে আঁধারেই ঘুমিয়ে থাকে ;
উদারতার বর্ণমালায় যদি রচিত হয় হৃদয়-কাব্য---
মুক্ত তরী পেরিয়ে যাবে চলার পথটা হলে নাব্য।

             ====সমাপ্ত====