শৈশবে যেথা লালিত হয়েছি, কাঁটা তারে ঘেরা সে ,
হাতছানিতে পৌঁছে দেখি,এখনো তেমনি ভালোবাসে।
শহর গেঁথেছে গ্রন্থি বাঁধনে,পুরাতন সবই অমিল ,
বুজে গেছে কত খোলা প্রান্তর,ক্ষীণতর খাল-বিল ।
গোচারণ ভূমি উদাস চোখে আকাশের পানে চায় ,
রাখালের বাঁশি বাজেনা কোথাও প্রান্তর-বনছায় ;
মুক্তাঙ্গন বিভাজিত সেথা উচ্ছাস নেই শিশু-মনে ,
মুক্ত বাতাস বহেনা কো আজ দক্ষিণ বাতায়নে ।
বিজন দুপুরে পুকুরের ঘাটে জলকেলি নেই আর !
সবকিছু আছে তবু মনে হয়--শূণ্য অন্তঃসার ;
গ্রাম্য সড়কে যন্ত্র-যানের অহরহ ছোটাছুটি ,
ডিঙি নৌকায় দখিনা হাওয়া খায়নাকো লুটোপুটি।
রামের ব্যথায় কাঁদেনা রহিম, বিপদে নেয়না খোঁজ ,
অনেক বেলায় সূর্য ওঠে, আগেভাগে ডোবে রোজ ;
হিজলের তলে ফুল-বর্ষণে ভেজেনা তো আজ কেউ ,
ভরা কোটালে থই থই মাঠে ওঠেনা তো আর ঢেউ ।
হাঁটুজল ভেঙে পড়শি আসেনা রাতের মশাল নিয়ে ,
পুরাতন পথ নতুনের ভয়ে গিয়েছে কোথায় হারিয়ে;
সিক্ত হৃদয়ে পল্লীর ছোঁয়া আজো তবু বেঁচে আছে ,
আমাদের সেই গ্রামের কথায় হৃদয় আজিও নাচে ।
====সমাপ্ত====