রাতের নৈঃশব্দ্যকে ছুঁয়ে
প্রতীক্ষার প্রতিটা প্রহর গুণে গুণে
সময় নির্দেশক যন্ত্রটার দিকে তাকিয়ে আছি
অধীর আগ্রহে অপলক দৃষ্টিতে--
কখন তুমি এসে আমার হৃদয় ভরে দেবে
একটা ছোট্ট উপহারে ।

যে উপহারের জন্য আমি প্রতিটা নিশীথে
অসহিষ্ণু শয্যাপ্রান্তে কাটিয়েছি-----
যাত্রীবিহীন খেয়াঘাটের তন্দ্রাচ্ছন্ন পাটনির মতো ।

অন্তর্দহনে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় জীবনের প্রতিটা তন্ত্র ,
ছিন্ন তারে শুধু হাহাকার রব ,
ওঠেনা কোনো সুর লহরী ,ওঠেনা কোনো ঝঙ্কার ,
শুধু দীর্ঘশ্বাসের তপ্ত বাষ্পে ঘনীভূত হয়ে ওঠে
বিনিদ্র রজনীর প্রতিটা প্রহর ।

বাঞ্ছিত একটা মূহুর্ত শুধু উপহার চেয়েছিলাম !
বঞ্চনা আর তাচ্ছিল্যের কশাঘাতে
ক্ষতবিক্ষত করে দিলে আমার
প্রতীক্ষারত প্রতিটা মূহুর্তকে ।

তোমায় যা চেয়েছিলাম
তোমার সাধ্যকে অতিক্রম করে নয় ,
চেয়েছিলাম স্বপ্ন পূরণের এক টুকরো সলতে ;
যার প্রজ্জ্বলিত শিখার দিকে চেয়ে চেয়ে
কাটিয়ে দিতে পারতাম অগণিত মূহুর্ত ;
যে মূহুর্তগুলো সময়ের অতল তলে সমাহিত হয়েছে ,
সেই মূহুর্তগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার
নিষ্ফল আবেদন রেখেছিলাম তোমার কাছে ।

যতবার প্রত্যাশার বীজ বপন করেছিলাম
হৃদয় অঙ্গণের নিঃসঙ্গ কোনে ,
ততবার সে বীজ অঙ্কুরোদ্গমের আগেই
হতাশার বাষ্পীভবনে শুকিয়ে
দীর্ণ হয়ে গেছে তার অন্তিম সমাধিতে ।

আজ আমি প্রত‍ীক্ষার শেষ প্রহরে উপনীত ,
উপহারের ব্যর্থ প্রত্যাশার ভরাডুবিতে
আমি হারিয়ে যাচ্ছি সর্বগ্রাসী চোরাবালির
অতল গহ্বরে।
একটু পরেই হয়তো শেষ হয়ে যাবে
প্রত‍‍্যাশার শেষ নিঃশ্বাসটুকু।

         =====সমাপ্ত=====