বৃদ্ধাশ্রমের পাঁজর ভাঙিয়া বেরোয় দীর্ঘশ্বাস ,
আগমনী পথে শুধু চেয়ে থাকে দিন-রাত বারোমাস ;
উত্তরসূরির পদধ্বনিতে মন হয় উন্মুখ ,
পর প্রজন্মের মুখ দেখে হয় বৃদ্ধাশ্রমের সুখ ।
এই সুখ থেকে বঞ্চিত করে পাঠায় এ বনবাসে ,
নিজেদের সুখ স্বচ্ছন্দের মাঝে রাখে না তাদের পাশে ;
ভাবে না পেছনে বার্ধক্য এসে দাঁড়াবে তাদের থানে,
তৈরি থাকার বার্তা পাঠায় উত্তরসূরির কানে ।
আপনজনের অভাবে কাটে বেদনা বিধুর দিন ,
বাইরের জৌলুসে মনে হয় যেন কতই না রঙিন ;
কয়েদির মত জীবন কাটে চার দেয়ালের মাঝে ,
উত্তর পুরুষ ব্যস্ত থাকে বিলাসবহুল কাজে ।
একাকি জীবন বৃদ্ধ আবাসে মন্থরগতি তার,
একঘেয়েমির অবসাদ মাখা জীবন কাটানো ভার ;
এই ভার বয়ে টলতে টলতে বিস্বাদ লাগে মন,
নিষ্প্রাণ সেই বৃদ্ধ সদনের কৃত্রিম আবাসন ।
মায়া-মমতার রুদ্ধ কণ্ঠ নির্বাক বেদনায় ,
গুমরে ওঠে চাপা হাহাকার মাথা খুঁড়ে মরে যায় ;
তারুণ্য বোঝেনা কী যে যন্ত্রণা বৃদ্ধাশ্রমের বাসে,
কীভাবে কাটে তাদের জীবন,কত দুঃখের পরিহাসে।
===========