আমার প্রাঙ্গণে ফুলের মেলা সৌরভে বিমোহিত ,
কেউ প্রস্ফুটিত,কেউ বা কুঁড়ি,সবাই এখানে প্রীত ;
খোলা প্রাঙ্গণ, গুণ্ঠন নেই, অবাধের বিচরণ ,
ফুলেরা এখানে পরস্পরে করে যে আলিঙ্গন ।

চুপি চুপি যখন পায়চারি করি প্রাঙ্গণ পরিসরে,
অজ্ঞাতসারে হৃদয়েতে বাজে গুঞ্জন অলি-স্বরে ;
প্রীতির বাঁধনে আপ্লুত আমি, নেই হেথা অহমিকা,
প্রজ্জ্বলিত হয়েছে হেথায় কত যে প্রদীপ-শিখা ।

প্রস্ফুটিত হলো কত কুঁড়ি হেথা এলো কত অলিদল,
হাজার হাজার সুরভিত ফুলে ছোটে কত পরিমল ;
চির বসন্ত বিরাজিত হেথা যেন এক দেবলোক,
চির আনন্দের বারতা বিলায়,নেই হেথা দুখ-শোক।

প্রাঙ্গণ জুড়ে বিরাট কানন, প্রতিদিন তাতে ফোটে--
কত যে কোরক! সুরভি বিলায়,অলি এসে কত জোটে!
মধু পান করে মাখিয়া পরাগ, সানন্দে গুঞ্জরন,
হৃদয় আমার  বিমোহিত তাতে, নেইতো সংবরণ।

মধুব্রত হেথা করে বিচরণ ফুটন্ত ফুলের বুকে,
আমরা যারা মধুপায়ীগণ আছি হেথা বড় সুখে ;
প্রতিদিন আসে নতুন নতুন ঝাঁকে ঝাঁকে মধুব্রত,
সবাই হেথায় মকরন্দ পানে চিরদিন থাকে রত ।

                       =========