ছাপোষ মধ্যবিত্ত সংসার বহুদিনের
ক্ষীরমোহন বাবু সেই যবে থেকে
এ গ্রামে সংসার পেতেছে তখন থেকেই
কাঁদা- মাটির সাথে যবর দস্তি সম্পর্ক তার
হাত দিয়ে চিন্তা করা ওই মানুষটার মগজে
আশ্চৰ্য রকমের বহু প্রতীকী চিহ্ন
একেবারেই নিরুপায় ; অসহায় , রোগা শরীর নিয়ে
আকাশের নিচে এফোঁড় ওফোঁড় করে সর্বত্র
কখনো আনন্দ পেয়েছিল কিনা জানা নেই
অন্ত্য মিলহীন জীবন স্রোতে যে বর্ণ গুলো বাঁধ সেধেছিল
খ্যাপাটে গলায় তাদের শাসন করেছিল ঠিকই
কিন্তু শরীরের আষ্টে- পৃষ্ঠে যে দারিদ্র বুদ হয়ে আছে
তাকে ব্যর্থ করতে প্রাণান্ত চেষ্টা করেনি কোনোদিন
এই চেনা পৃথিবীটা তার কাছে একেবারেই খটখটে ; মেদহীন
অবাক হওয়ার মত ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলো বহুদিন আগে
মূর্খ মননে সেদিন অধিকার জন্মেছিলো - এ আমার নই
বীরোচিত কণ্ঠে সেদিনও হাঁক ছাড়তে ভয় পেয়েছিলো
শিরদাঁড়া বেয়ে শরীরের আনাচে- কানাচে যে তিক্ততা বাসা বেঁধেছে
তা থেকে আদৌ মুক্তি মেলে কিনা সন্দেহ
শরীর জুড়ে প্রতিবাদের ঢল চিবুক স্পর্শ করেছিল
অস্তিত্ববোধে যে ধাক্কাটা দিল - তাতে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে নি
ক্ষীরমোহন বাবু ঠিকই কাঁদা মাটির মূর্তি বানিয়ে চলছে : দ্বন্দ্বে ও ক্ষুধায় ।
১৬.১০.২০১৬