অবনী সেদিন কিশোরী সেজে এসেছিল
ঠোঁট দেখেই বুঝেছিলাম
দুর্দিনেও হাসতে পারবে মেয়েটা
ঘোর অন্ধকারেও ভয় পাই নি কোন দিন
বন্যার মতো উল্লাসে মেতে থাকতো
চোখে ঝরতো শুকনো হাসি
একটা কথা বলবে বলে কথা দিয়েছিল
তা আর বলতে পারিনি
যাবার দিন দর্পণ হাতে এসেছিল
নিমেষ হারা দৃষ্টিতে।
চোয়ালে কৈশোরের দাগটা আজও মুছেনি
ধপধপে হাতে খিমছে ধরেছিল আমায়
বুঝেছিলাম বুকের মধ্যে দিয়ে চলছে
শুকনো রক্তের রেখা
ঐটুকু মেয়ের এত সাহস জন্মেছিল।
অনেক খুঁজেছি অবনীকে
প্রান্তরময় তন্ন তন্ন করে ছিঁড়েছি
অবশেষে ছেঁড়া রক্তাক্ত শাড়িতে
বছর কয়েক বাদে ফিরে পেয়েছিলাম
সেদিনও হাত ধরে রেখেছিল
সে হাত আজও ছাড়াতে পারিনি
মাটি খামছে ধরতে চেয়েছিলাম, পারি নি
কুমারীর সেই পবিত্রতা আমায় অভিশাপ দিয়ে গেল।
১০. ০৬. ২০১৪