পৃথিবীটা থমকে গেছে
পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে।
একবার হাঁচি বা কাশি হলে
মনে হয় হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ।
দিকবিদিকশুন্য মানুষ
করোনা প্রস্তুতি চলছে ঘরে ও বাইরে
হাত ধুতেধুতে মানুষ 'ওসিডি ' নামক একপ্রকার মানসিক রোগী হয়ে গেছে,
কতদিন এভাবে হাত ধুতে হবে
কেউ জানেনা, অনিবার্য অনিশ্চয়তা।
ক্ষয়িষ্ণু চন্দ্রের মত ক্ষয় হচ্ছে পৃথিবী
একে একে পৃথিবী থেকে ঝরে পড়ছে মানুষ
আতংকে আতংকে মরার আগেই মরে যাচ্ছে পৃথিবীর মানুষ
কি হবে, কি হবে এই ভেবে প্রেতাত্মার মত কান্না হাসির ভয়ংকর শব্দে কর্ণ গহ্বর ফেটে যাচ্ছে
কোন হুমকি নয়, ধমকি নয়
কেউ কাউকে তাড়াচ্ছেনা
বোমার বা শক্তিশালী গ্রেনেডের কোন শব্দ নয়
ক্ষেপণাস্ত্রের ভয় নয়
ভয় নেই কোন আনবিক বোমার বিস্ফোরণের
তবু মনে হচ্ছে যুদ্ধের দামামা বেজে চলেছে পৃথিবীজুড়ে
রাস্তায় সেনাবাহিনীর বুটের শব্দ মনকে আরোও আতংকিত করছে
কোন জরুরি অবস্থা না হলে তো সেনাবাহিনী মাঠে নামেনা
এক অনুবীক্ষনীক পোকা করোনার কাছে পৃথিবী পর্যদুস্ত
কোন উপায় নেই, এটার বিরুদ্ধে কেউ যেতে পারছেনা
কাছে গেলেই মরণ
হোক মরণ, মরণ তো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া
কিন্তু, কিন্তু এ মরণ তো অন্য মার্গের মরণ
মরে গেলে বাবা, মা, ভাই বোন, স্ত্রী পুত্র কন্যা লাশের উপর কাঁদতে কাঁদতে আছড়িয়ে পড়তে পারবেনা
দাফন-কাফনের সময় কেউ কাছে আসবেনা
দড়ি দিয়ে টেনে কবরে নামিয়ে দিবে
অথবা পুড়িয়ে ফেলবে।
কি দুর্ভাগ্য! কি দুর্ভাগ্য এ পৃথিবীর
এ যেন স্বভাবসিদ্ধ এক অমঙ্গলবার্তা
মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, চার্চ সবখানেই নিষিদ্ধতা।
অবরুদ্ধ হয়ে বাসায় বসে থাকা
না, না আর কোন উপায়ই নেই
খোলা আকাশের দিকে বুকের মাঝে নীল যন্ত্রণা নিয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই,
আকাশের মালিকের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে চোখের জল ঝরিয়ে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
#বেনাপোল
২৪/০৩/২০২০