সুনন্দা, তোমার দেশের কি অবস্থা? “
ডলার রিজার্ভ, জ্বালানি বা লোডশেডিং?
কি বলবো তোমায়
কোনভাবে দিনাতিপাত করা
তেল সংকট, দামে কুলোয় না
তাই আগে সবজি সিদ্ধ তারপর দু'এক ফোটা তেল ;
এভাবেই চলছে সম যোগ হার।
মাছ, মাংস ক্রয় ক্ষমতা নেই
বেতন যা পাই তাই দিয়ে
ঘর ভাড়া, ইউটিলিটি বিল
ছেলেমেয়েদের স্কুল বেতন
তারপর খুবজোর কোনভাবে সতেরো দিন
তারপর, তার আর পর থাকেনা।
অথচ পরের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে
দিব্যি বিলাস যাপন করে
পেয়ারা গাছে টুনটুনি
আবার গান গায়, শুনায়-ও।
এ-সব বাদ দাও
তোমার কথা বলো এবার -
আমার!
আমি আর আমি নেই
যে-ই না আবির্ভাব হয় কবিতার
টেবিলে যাওয়া মাত্র
চলে যায়।
কে?  কে যায়?
বলো না প্লিজ!
আরে, বুঝো না?
চলে গেলে চন্দ্রমুখীও কালো হয়।
এবার অন্তত বুঝ?
অবুঝ হওয়ার বদভ্যাস ছাড়নি!
ফিরার সময় না বলেই চলে যায়
এটাই এখন নিয়ম হয়েছে শম্পার।
চারিদিকে ভুতুড়ে অন্ধকার
ভাদ্রের চরমে উঠা গরমে
বাতাসও হয় ধান্দাবাজ।
আর চাঁদ টাও হয় হঠাৎ উধাও
যখনি ফিরে আসে ডিজেলের আলো
তখন চাঁদ দরদী হয়ে আসে
আসে দিতে একমুঠ জোছনা
ত্রিশ বছর আগের মতো ফাও।
শ্রাবণ ফাঁকি দিয়ে গেল এবার
ঝরে নি একটুও
ফেটেছে বুকের পাঁজর
সুনন্দা, এ অভ্যাস তার পুরোনো
কবিতার মতো বেদম বদভ্যাস তার
আসে, হঠাৎ-ই হয় নিঁখোজ।
আমি তখনও বুঁদ হয়ে থাকি
কবিতার প্রেমে-
ক্ষানিকখন হাসি দিয়ে হারিয়ে যায় সে-ও।
আমি শেষ বিকেলের মতো ফিকে হয়ে যাই।

#বেনাপোল
১২/০৯/২০২২