আসো আসো হে নববর্ষ
সবাই আছে তোমার অপেক্ষায়,
কারোর হাতে কলম আছে,
লেখতে বসবে নবযুগের অনেক স্মৃতি ঘটনা।
কেউ বাজাচ্ছে বাজনা ঢোল,
বোতল ধরে রাস্তায় বসে,
করছে স্বপ্নের ভঙ্গিমা।
কেউ খাবে কেক পিঠা,
অনেকের আছে পেটের জ্বালা।
আসো আসো হে নববর্ষ
সমাজ করছে তোমার অপেক্ষা।


তোমার আগমনে কারোর প্রদীপ মিটবে,
বিধাতা লেখছে যে ললাটে,
সময় যে স্বপ্নের ঘোড়া,
কেউ হারাবে সবকিছু,
কেউ পাবে অনেককিছু।
বলো না হে নববর্ষ,
আমার জন্যে কী নেয়ে তুমি আসছো?
সুখ চাইনি,দুঃখী আছি,
সমাজের লীলাখেলা দেখবে তুমি।
আসো আসো হে নববর্ষ
অসহায় করছে তোমার অপেক্ষা।


তুমি জানবে ধীরেধীরে,
তুমি যখন বালিক হবে,
মাটির তৈরি,মাটিতে মিশে যে একদিন।
আপন আপনকে বলি করে,
স্বার্থে সময় যে চলে,
পরকে আপন বলে,আপনকে পর,
তবুও সুখ নেই তার ঘরে।
পারলে তুমি কলসি ভরাট,
সুখ নেয়ে ঘরে তার আসো।
আসো আসো হে নববর্ষ
অন্ধ সমাজ করছে তোমার অপেক্ষা।


হে নববর্ষ আমার যুববন্ধু সমাজে,
সুখ,শান্তি,ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ নেয়ে আসো।
বাঁচতে সাথে,মরতে পাশে,
জাতিধর্মের ভেদাভেদ ছেড়ে,
সবাই যেন মানুষের মত মানুষ হয়ে বাঁচতে পারে।
সমাজকে তুমি মানবতার ঘর করো,
তুমি যুবককে দেয়ে নতুন এক সমাজ গড়ো।
আসো আসো হে নববর্ষ,
সবাই করছে তোমার অপেক্ষা।