ধর্মের নামে তুমি আজি করছো রাজনীতি,
ধর্ম তো হৃদয়ে,সংসদে প্রকাশ হচ্ছে কেন আজি?
হিন্দু-মুসলিম,খৃষ্টান -জৈন
এই ভাগাভাগিই বিবাদের মূল।

আমি রহিম,তুমি রাম;
জন্ম নিয়েছি মুসলিম কিংবা হিন্দু ঘরে।
ইহাই কি আমাদের দোষ?

এমন যদি ভাবসাগর হয় তোমার,
বুঝে নিও হে প্রবীন;
এই তরুণ সমাজে পবিত্র ভূমিতে তোমার অবশ্যই জায়গা নেই।

রাম,রহিম দেখছে তোমার ধর্মের উস্কানি ;
যদি প্রয়োজন হয়,একক সৃষ্টের সুরে দুজনের আঘাতে তোমার রক্তে মানব ধর্মের বিজয়গানের হলি খেলবে।



মসজিদ,মন্দির ও গীর্জাঘর;
সৃষ্টকারীর দিদার পাবে ঐখানেই,
আত্মা পবিত্র,কিন্তু মন নয়;
মনকে পবিত্র করতে হলে, সর্বদা মৃত্যুকে স্মরণ করো।

মন ভেদাভেদে আজি হচ্ছে গণ্ডগোল,
গণ্ডগোলে পরে শিক্ষাই,
আজি নিরক্ষরতার রুপ ধারণ করে নেয়।



পিপিলিকার জাত আজি করছে কানাকানি,
পথিক রুপে তো ওরা সৃষ্ট প্রাণী;
বিশ্বপ্রেম যেন লুকিয়ে আছে ওদের মধ্যে।

ভাষ্যে সৃষ্টতা নয়,কর্মে হতে হয়;
একদিন এসেছো এই মহীতে,নিশ্চয় যাবে ভূমিতলে;
তুমি আর আমি তো অমর নয়।

জাত-পাতের ভাগাভাগি ছেড়ে,
রহিম এখন রামের ঘরে থাকবে;
ইহার সুব্যবস্থা করো।

রাম ও রহিম তো একই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি,
তবে,আমি কিংবা তুমি কেন পৃথক করবো?
সৃষ্টজীবের মগজই সৃষ্ট,
মগজখালি কেন দেখাচ্ছো?