ভোরবেলা জীবন চাষি জেগে উঠে
লাঙ্গল,কুদাল ও গরু -মহিষ নিয়ে
মাঠে বেড়িয়ে পড়ে।
চাষের সময় ছোট ছেলে এসে বলে,
বাবা,তোমার দাদা এসেছে ঘরে ;
জীবন বলে, তুই ধর লাঙ্গল
কি করা যায়,ঘরে গিয়ে দেখি যাই,
চাষি চলে ধীরে ধীরে,
ঈশ্বরের নাম তার মূখে।
ঘরে গিয়ে দেখতে পায়,
দাদা এসেছে গ্রামের পঞ্চায়েত নিয়ে।
কি করা যায়,ভাবতে না পায়;
বিনতি করে, দুমাস পরে সুদসমেত
পয়সা দিব বলে।
দাদা বলে, ঠিক আছে
তা হবে, কিন্তু.......
দুমাস থেকে অধিক হলে,
আসব ঘরে দারোগা নিয়ে।
জীবনের দিন যায়, দুঃখের সঙ্গে,
তবুও আশা রাখে,আসবে সুখের দিন।
হল একমাস অতিক্রম
দিবারাত্রি ইন্দ্রের প্রসাদ বর্ষিত হল।
এখন মাঠঘাট বন্যাবাহিত হল,
জীবনের শেষ আশাটুকু এখন স্বপ্নই রইল।
চারিদিকে হাহাকার, প্রাণ বাঁচনমরণে
সে জমি বন্দক দিল।
দুমাস হতেই দাদা আসলো
জীবন মানসম্মান ও জবান রক্ষার্থে,
দুবিঘা জমি বিক্রয় করে;
মহান দাদার পয়সা দিল।।