আমি জীবন থেকে কি পেয়েছি? কি জেনেছি?
শূণ্য হাতে পৃথিবীতে আসলাম, পেলাম
অজস্র ভালবাসা। হাসি, আনন্দ আর খেলা।
শৈশব তারপর কৈশর। শুরু হল
চাওয়া-পাওয়া, মান-অভিমান।
শুরু হল নিজেকে জানার প্রক্রিয়া;
হয়তো কিছু কিছু জানলাম। জানলাম,
আমি সুন্দর; বিপুল সম্পদের মালিক।
মালিক একটা ঐশ্বর্যবান মনের। জানলাম,
কেউ আমাকে অন্য রকমভাবে
ভালবাসে, সেই কেউটাকে খুঁজলাম।
কৈশর পেরিয়ে যৌবন। সব কিছু ভেঙ্গে
নতুন করে গড়তে ইচ্ছে করে।
সংসারের সব নিয়মকে অমুলক মনে হয়।
মূলবিহীন সংসারকে অসহ্য লাগে।
বুঝতে পারি ভালবাসাগুলো ফিকে
হয়ে যাচ্ছে।
অন্যরকম ভালবাসাকে খুঁজে ফিরি,
কোথাও পাই না।
অভিমান গুলো দীর্ঘ হতে থাকে।
বুঝতে পারি জীবন বড়ই কঠিন,
এবড়োথেবড়ো।
নির্ভরতাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা
সমাজ, ভালবাসার বুলি শোনাই।
শেখানো বুলিগুলো বারবার আওরাতে থাকি।
মাঝে মাঝে মনে হয় এসব শুধুই
স্বার্থ উদ্ধারের জন্য শেখানো বুলি।
কিন্তু এ স্বার্থের মাঝেও কারচুপি;
কোনটি আমার স্বার্থ চিন্তে পারিনা।
জীবনকে বুঝতে পারি না। অর্থহীন,
ঘন কুয়াশায় ঢাকা জীবন।
কি অবাক! কি দূর্বোদ্ধ!! আর
কি অপূর্ব!!!
মাঝে মাঝে কিসের যেন ঝড়
ওঠে, শরীরে, মনে। সবকিছু খুব
আপন মনে হয়, বাঁচতে স্বাধ হয়।
মনে হয়, আরো অনেক জীবন বাঁচি
আবার ঝড় থামে।
আবার অভিমান, জীবন দূর্বোদ্ধ।
আবার বোধ খুঁজে ফিরি।