ফুল,পাখি,আকাশ,নদী ও রমণী
একেকটি শব্দ, হতে পারে কবিতার স্তবক।
চোখ দিয়ে দেখুন এবং হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করুন,
দেখুন কী মারাত্মক এবং শিল্পের অসাধারণ ব্যঞ্জনা
বৃক্ষদেবীর অপুর্ব সৌন্দর্যের এক হিরন্ময় উপহার হল ফুল,
নবী ও কবি,নাবিক ও পাইলট এবং কী ফুটপাতে ভিক্ষারত শিশুটিও ফুল ভালোবাসে।
অবারিত দিগন্তের যে মালিক, ডানা ঝাপটিয়ে কিনে নিয়েছে সমস্ত পৃথিবী।
পাসপোর্ট,কাঁটাতার ভূস্বামীর এনওসিকে ফু দিয়ে উড়িয়ে হিমালয় থেকে ভূমধ্যসাগর ঘুরে বেড়ায় যে পাখির দল
সৃষ্টির সকল শান্তির বিমুগ্ধ বাহক,মূর্ত প্রতীক।
মহৎ আকাশ তার বিশাল বুকে অজস্র তাঁরা, চাঁদ,সূর্যকে ধারণ করে বিশালতার নিঃস্বার্থ সুন্দরের উপমায় নিজেকে করেছে সমৃদ্ধ।
যেন নিস্তব্ধ সুন্দরের নৈসর্গিক দৃশ্যের অপরূপ শিল্পী।
আর নদী? সে মানে না কোনো বাঁধা,
সমস্ত প্রতিরোধ গুড়িয়ে, প্রবল স্রোতে সব বিনাশ করে বয়ে চলে তার প্রবাহ ধারা।
রূপকথার সেই গল্পের অবিনাশী একতারায় মিশে- ভেঙে খানখান করে ছুটে চলে জনপদ পেড়িয়ে উচ্ছল সাগরের দিকে।
রমণীর শ্যামল কোমর, চোখে তার কামিনী করে খেলা সুহাসিনী হাসলে যেন গলে যায় যমদূত।
লালচে ঠোঁটের কোনায় শতসহস্র বছরের উচ্ছল আবেগী কামে বিভোর!