প্রকৃতির মুখ নেই,কথ্যরূপে কপট ভাষাও নেই!
তবে অভিমানী প্রকৃতির অভিশাপ আছে।
যে অভিশাপের রৌদ্রতাপে পুড়ে অঙ্গার অথবা
বানের তোড়ে ভেসে যেতে পারে সুউচ্চ অট্টালিকা। চাকচিক্যময় উপাসনালয়,
হ্যাঁ এটাই প্রকৃতির প্রকৃত ভাষা!
যখন প্রচন্ড ঘেন্না,রাগ,ক্ষোভ আর সহ্যহীন যন্ত্রণা একীভূত হয়,
তখন একটি গণবিস্ফোরণের জন্ম হয়।
প্রচন্ড দাবানলে উগরে দেয় অভিশপ্ত অভিশাপের সমস্ত
বেদনা!
বেদনার অভিশপ্ত ভাষার প্রকাশ এতোটাই তীব্র ও ভয়ংকর যে,
অসহায় মানুষ তখন সব হারিয়ে,
অহংকারের সর্বনিম্ন স্তরে নিজেকে খুঁজে পায়।
কিন্তু হায়!
সভ্যতার ইতিহাস এই যে,
মানুষ চিরকালই প্রকৃতির দানে অকৃতজ্ঞ।
সে শাসন করতে চায় নদী,দখল করতে চায় উদ্যান,
কবজায় নিতে চায় সুউচ্চ পর্বতশ্রেণীর নিরাপদ বৃক্ষদেবীকেও।
তবুও যদি আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজেকে
প্রকৃতরূপে খুঁজে পায়,
প্রকৃতি তখন দু'হাতে উজার করে ভান্ডারের সমস্ত সম্পদ মানুষকে সঁপে দেয়
হ্যাঁ এটাই প্রকতির প্রকৃত ভাষা।
এ ভাষায় প্রকৃতি মানুষের সাথে কথা বলে!