অনিবার্য সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে
যখন বিবেকের দ্বারস্থ হই
জোনাকির আলোকছটায় অন্ধকার জেগে উঠে।
বিচিত্র প্রজাপতির সৌন্দর্যে বিমুগ্ধ অন্তর আত্মা
তৃতীয় নয়নে দেখে অঐশ্বরিক খেলার মনোমুগ্ধকর জাদু!
রাতের আকাশে নক্ষত্রের বিন্দু বিন্দু উপস্থিতি,
সমুদ্ররের উত্তাল ঢেউ,মায়াবী হরিণীর চোখ-
তোমাদের কোন দেবতার কথা বলে?
ধূসর তপ্ত মরুর বুকে যেদিন জেগে উঠবে পাহাড়,
উত্তাল জলরাশিতেপূর্ণ সাগর হবে ধূধূ বালুচর
সেদিনও তোমরা বলবে এসব ঈশ্বরের আজব খেলা।
ঐতিহাসিক সত্য এই যে প্রাণের বিবর্তনে কোন ঈশ্বরের হাত নেই!
ঈশ্বরের কি প্রয়োজন কেঁচো বা ব্যাঙের?শুয়োর অথবা বেঁজির।
গৃহহীন,অন্নজ্বালায় কাটে যাদের নির্ঘুম রজনী
ক্ষুধার্ত বাঘ হরিণ শিকারে ওঁত পাতে,হরিণ প্রাণপণে ছুটে বাঁচতে,
বলতে পারো তাঁদের কাছে ঈশ্বরের কি রূপ?
অথচ মাটির পূজায় সাজাও বাহারি বিলাসী প্যান্ডেল!
মার্বেল,টাইলস,ইট পাথরের সুউচ্চ মিনারে আল্লাহ্ থাকে না,
ভগবান থাকে না ঐ মন্দির প্যাগোডায়!
মানুষে মানুষে বিরাজ করে আল্লাহ্,ঈশ্বর,ভগবান।