শোবিজ!
বেশ্যা বানাবার কারখানা এক।
স্পর্শহীনা নারীকে দেশে দেশে।
বেশ্যা বিনির্মাণের উর্বর কারখানার কুশীলবদের
লিকলিকে জিহ্বা, সঙ্গমী চোখ
আর বোতাম ফাটা ক্ষণিকের রগরগে মোলায়েম যাঁতায়
শহর-গঞ্জ-গাঁওয়ের কিশোরী-তরুণী
নায়িকা হওয়ার মানসে-
হয়ে ওঠে অদ্ভূত খাঁটি বেশ্যা।
ঘটে আগমন ওদের
সোনালী অথবা রূপালী পর্দায়।
অতপর ;
সামনে বাড়ন্ত পা শোবিজ বেশ্যাদের।
বিকিয়ে চলে নিরন্তর-
আশ্বিনের কচি লাউয়ের মতো স্তন যুগল
তলথলে উরু, তলোয়ার সম গ্রীবা
সতের ইঞ্চি কামাতুর পৃষ্ঠদেশ
আর মাংসল নিতম্ব জোড়া।
জাহেরে।
আর-
দুই খুটির মধ্যিখানে বাতুনী ফরজের পার ভাঙ্গে
শোবিজ, নো-বীজ ভাঁড়ের ঝাঁক,
অলস কালো কারেন্সির কামড়ে।
গ্রীন রুমে, মোটেলে, হোটেল আবসিকে আর
ভাড়ায় খাটা এক্সট্রা ফ্ল্যাটে।
পার ভাঙ্গা জ্যামিতিক মূলধনে
হয়ে ওঠে সেলিব্রেটি শোবিজ বেশ্যারা।
লাইট ক্যামেরা এ্যাকশান বাণিজ্যের সেলুলয়েডের আলোক বিচ্ছুরণে
কান্না হাসির রোল পড়ে প্রেক্ষাগৃহে। হিট, সুপার হিটে
মূলধন ফিরে পায় লগ্নিকারক,
খ্যাতি সুনাম যশ নির্দেশক। সঙ্গে কড়ি।
পায়না ফিরে শোবিজ বেশ্যা শরীর অখ্যত।
সুস্থ মন আর বেঁচে থাকার স্বাভাবিক পরিবেশ অনুকূল।
কিছু অর্থ ব্যতিত আর-
খাঁটিদেহ বেচা খ্যাতি ক্ষণিকের। পায় স্থায়িত্ব
হেডমিস্ত্রি, ফোরম্যান আর
এ্যাসেম্বলিং কারিগরেরা আছে যতো কারখানার।
কাজ ওদের অফুরান।
রমনী খেকো জালে দেশময়
দারিদ্রের দুষ্টচক্রের নিয়মে পড়ে ধরা
জরিনা, সখিনা, মর্জিনা বনে যায়
জেনা সিনা আর মনায়।
ওরা সরলা নারীকে ফেলে বেশ্যার ফরমেটে
খায় আর করে ছ্যাঁদা।
তুবও লাগে না গায়ে ওদের বেশ্যার পুংলিঙ্গ।
ছি! ছি! বেশ্যার আবার পুংলিঙ্গ হয় নাকি ?
বেশ্যা-
সে তো নারীর ভূষণ।
ওই যুতসই পুরস্কার তো নারীকেই মানায়।
সেই যে ইভ থেকে।
তাই বুঝি নারীরা করেনা প্রতিবাদ। হয়ে চলে বেশ্যা নীরবে।
আর থেকে যায় অন্তরালে,
সরলা নারীর বেশ্যা হয়ে ওঠার নেপথ্য গল্প যতো।