যদি তুমি হবে আমার
তবে শর্ত আছে বড়। অধুনা,
ভালোবাসাবাসিতে বড্ড ভেজাল। খাঁটি প্রেম,
হয়েছে উধাও সেই কবে।
তারপর তৃষ্ণার্ত অপেক্ষা। মাঝপথে
ভালোবাসার কঞ্চিলতা
বিছাতে চেয়েছে কেউ কেউ। বলেছি,
যদি তুমি হবে আমার
তবে শর্ত আছে বড়।
তথা হতে কৃষ্ণবর্ণ অষ্টাদশী এক,
রাজ্যের অভিমান নিয়ে বলে, ভালোবাসায় আবার পূর্বশর্ত !
এবার দৃঢ় কন্ঠ তার, তোমাতে হব বিলীন প্রিয়। তাতে
ব্রহ্মান্ডের শর্ত আছে যত,
দাও জুড়ে।
আমি বলি, সহজ সে শর্তের বেড়াজাল। কিন্তু
আকর্ষিত কঠিন।
কৃষ্ণকুমারীর ব্যকুল কৌতুহল, শোনাও,
তব শর্ত তোমার।
আমি তার নিষ্পলক আঁখি পানে চেয়ে
শোনাই শর্ত আমার।
যদি তুমি আমার হবে প্রিয়া;
মোবাইল সেটটি তোমার ছুঁড়ে ফেলো পয়লা,
বন্ধ কর তোমার ফেসবুক, টুইটার
আর ইউটিউবের পিকচার।
পরকীয়া আর নস্টি-ফস্টি মার্কা
ভারতীয় হিন্দি-বাংলা সিরিয়াল দেখাও
ছাড়তে তোমাকে হবে।
ইদানিং স্বদেশও ধরেছে পথ একই।
ওসবে থাকেনা মন নিষ্কলুস। পড়ে ছেদ,
পড়ে গাঢ় আবরণ মনের সাদা বারান্দায়।
পিনপতন নিস্তব্ধতায় অষ্টাদশীর গলাধকরণ,
আমার শর্তের এই তো ধরন।
আমি বলে চলি,
আরও আছে, আছে আরও শর্ত সখি;
ইদানিং গুলশান বারিধারা উত্তরার বাংরেজীয় বখে যাওয়া
ললনাদের ‘ইয়াবা’ সেবন আর ‘মোর সিগারেট’
পারবে না ছুঁতে তুমি।
ওতে অপবিত্র হয়েছে ভূমি।
ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকর বিধ্বংসী সে নেশা।
সর্বত্র। দেশময়।
কৃষ্ণকুমারী আড়মোরা ভেঙ্গে বলে এবার,
প্রেমী, তোমার শর্ত সংখ্যা যে চলেছে বেড়েই।
থামো এবার।
পালা আমার।
একি শর্ত প্রনয়ের, নাকি দেশপ্রেম প্রিয় ?
এমন শর্তের বেড়াজালে হতে আবদ্ধ অনাদীকাল,
অপেক্ষা মোর।
এত হলো দেরি, খোলো বাহুডোর।
জড়িয়ে লহ বুকে, করো আলিঙ্গন।
ছিঁড়ে সকল বাঁধন।
অতপর আমি মিশে যাই কৃষ্ণকুমারীতে,
শিরা-উপশিরায় করি অবগাহন,
বর্ণিল আবেশে মাদকতায় ভরে মন।
তোমকেই বাসিলাম ভালো সারাজীবন।
সারাজীবন।