তুই ধুয়ে খা,
তোর কেনা ঐ সব দেশ বিদেশের ডিগ্রি আর
বস্তাপঁচা ডক্টরেট অব ডি লিট,
তুই ভাত দে
একথালা ভাত দে, খাই কাঁচামরিচ আর লবনে চটকে
নইকো আমি এলিট।
তোর বস্তাভরা ডিগ্রিতে মোর
লাভ নেই, তাতে ভাত নেই নেই ভাত নেই
পেটে আমার হাবিয়া দোজখের খাই খাই,
আমি লাথি মারি তোর উন্নয়নের চাপাবাজি
আর ধোকাবাজি ভরা রোশনাই,
আমি ভাত চাই, খাব ভাত চাই।
ঐ শুয়োরের বাচ্চা,
আমার বয়স্ক ভাতার টাকা মেরে আবার গালি দেয়
হাত তালি দেয়, ওর জনমের বুঝি নাই ঠিক,
ওর গুর্দা-কলিজা খাব চাবায়ে
কব্জি ডুবায়ে, হাড্ডি মাংস দেব বিলায়ে
শেয়াল-কুকুরে খাবে ঠিক, ওদের চৌদ্দ গুষ্ঠিরে দেবে ধিক
শুধু দেবে ধিক।
আমার বাজানের,
এক চিলতে ভিটেখান, মোর জানের জান
আমি আগলে রেখেছি ছয় যুগ তাতে পাই সুখ,
তাতেও পয়মালের পাল
দেয় চোখ, আনে শত লোক কত বাজে লোক
দিয়ে আমারে খেদায়ে ভিখারি বানায়ে দিছে দুখ
ওরা দিছে দুখ।
আমার নাওয়া গাঙখানি,
ঐ দেশদ্রোহি খাদকের দল, নিয়ে দল বল
দখল করে বানিয়ে সড়ক ভিন দেশিদের দিয়ে দেয়, ওদের দেশের তরে নাই বোধ,
থাকি আমি টকে টকে
টেটাখানা মোর হাতে থাকে, ঘুরি বাঁকে বাঁকে
দেব বসিয়ে সুযোগ বুঝে গাঙ দখলের নেব শোধ, নেব প্রতিশোধ।
ঐ পঙ্গপালের রানীমাতা,
করেছে হরণ সংবিধান দেয়া স্বাধীনতা, আমার কথা বলার বাক্ স্বাধীনতা
ধরেছে চেপে আমার টুটি, সেই ঘষেটি, করতে ধ্বংস স্বাধীন বাংলার নীল আকাশ,
আমি দিয়ে চিৎকার মেরে ফুৎকার
উড়িয়ে দেব, ওদের তখ্তে তাউসের ভিত্তি পিলার গুড়িয়ে দেব,
সেথা মজলুমদের জীর্ন কুটিরের বাঁশ ফেলে দিয়ে নতুন করে খাম লাগাবো
ও ঘরে বসে সবাই মিলে একসাথে খাব, কাঁচামরিচ আর লংকা দিয়ে একথালা ভাত,
এভাবেই পার করে দেব যুগ-যুগান্তর আমার বাংলায় দিন রাত।