স্তব্ধ নোঙর পেতে তটিনীর মাঝে বসে,
বন্দরটাকে খুঁজে না পেয়ে
নির্বিকার চিত্তে হালটাকে ধরি কষে।।
বাহুতে বাহুতে দিয়ে জোর
কাটাই আঁখির তনুর ঘোর,
উৎরাই-চড়াইগুলো ঘিরে
অজানা ইশারা এলো ফিরে-
তবুও জলতরঙ্গের ভেরীতে ভর করে
চিন্তা-চেতনা পড়ে খসে।।
গাঙ পার হ’তে মেঘ রোদ্দুর
কোথাযে হারায়ে গেলো,
প্রায় ভেঙে যাওয়া, স্বস্তির তীরে
অচেনা ক্লান্তি ফিরে এলো।
তটিনী তথাপি ইচ্ছার জোরে
আঁকা-বাঁকা মোড়ে সদা ঘোরে,
পুরোনো ফাটলে জল ঢুকিয়ে
দেনা-পাওনার খাতাটা চুকিয়ে-
সাঁঝের তিথিডোরে সাড়া দিয়ে ফিরে
কুলটাযে গেলো ধ্বসে।।