সাঁঝের আগে জ্বেলেছিলাম বাতি
জ্বলেছিলো তা বেশ কিছুকাল ধরে,
তবে আমি আঁধারের মাঝেও
জেগেছিলাম সারা রাতি।
নিদ্রার কোলে অবনত মস্তকে
সপ্তসিন্ধু পারে, অকপটে জেগে ওঠে চিন্তার ঢেউ,
ক্লান্ত মুঠিটা অবসন্ন হয়
হঠাৎ জেগে দেখি, আশে পাশে নেইতো কেউ।
শ্রাবণের মেঘ, সেতো শুধুই ঝরিতে জানে-
সিক্ত করে দেয়, আঁখির পাতা দু’টি
কি যে ঢেউ জাগে, ছলোছলো বয়ে যাওয়া প্রাণে।
ফেরি করে ফিরি, দিনের ব্যস্ততাকে-
কোন সে প্রহরী, দুয়ারে দাঁড়ানো
নীরব নিশীথে খুঁজে পাইনাকো তাকে।
বাক্যহীন শিরে, কি আশা নিয়ে যে কাল কাটে-
দেহটাকে যে এলায়ে দেবো
সে উপায়টাও নেই, জানিনে
স্বপ্নের খেয়াটি অগোচরে, ভিড়বে যে কোন ঘাটে।
কেটে যায় কতো অঘোষিত দিবারাত্রি-
লেনা-দেনার তবু, হয়নাকো শেষ
ভাবনাগুলোও, বিলীন হয়েছে
অবশেষে, নিদ্রাহীনতাই হয় যে সহযাত্রী।
(“দ্বিভূজ” কাব্য থেকে)