গাছের ছায়ে বুদ হয়ে শুয়ে আছে
কোন বিবাগী-
জাতে-কুলে কেউ নেই যেন তার
ঘুরে তাই গাঁয়ে গাঁয়ে একাকী,
ওর সাথে যোগ দিয়েছে ক্লিষ্ট রাখাল-
কারণ তার গরুর পালও পেটপুরে খেয়ে
ঘুমুচ্ছে এখানে ওখানে।
বেদেনীটা তবুও হেঁটে ফিরে পায়ে পায়ে-
খাবারের চালগুলো এখনও পুরেনি,
তার উপর উপরিটা বেচে
মরদটার চোলাই কিনে দিতে হবে।
খোকাবাবু হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে
হেসেলের দিকে যায়-
অনেকক্ষণ যায়নি মায়ের কোলে,
ওদিকে মা ব্যস্ত, উনুনের আধপোড়া
খড়িগুলোকে সামলানোর তরে।
গাঁয়ের আইবুড়ো মেয়েরা সব সারি বেঁধে
উকুন বেছে চলে-
আর কি যেন বেসুরো সুরে গান সাঁধে,
হোগলা পাতার বেড়ার ফাঁক দিয়ে
ধেড়ে চাষাটা আবার উঁকি দিয়ে চায়।
গোয়ালিনীর হাড়গিলে মেয়েটা সারা গাঁ
ঘুরে দুধ বেচে ঘরে ফেরে-
যৎসামান্য কিছু পসরা নিয়ে,
ওগুলো দিয়েই উনুন ঠেলবে
তাদের মা জননী, আজ রাতে।
সস্তা প্রসাধনী মুখে মেখে
অপেক্ষায় রয় গাঁয়ের কোন
অজ্ঞাত যাত্রা পালার নায়িকা,
অন্যদিকে অন্ধগলিতে সাজে
এক কুলভ্রষ্টা দেহপসারিনী,
আঁধারের মাঝে খদ্দেরের অপেক্ষায় থাকা। ...
ওদিকে, বিকেল গড়িয়ে সাঁঝের আঁধার
নামার অপেক্ষাতেই রয়েছে সবাই।