রবির কিরণ পড়লো এসে, শ্যামলা বঁধুর গায়
গাঙের ঘাটে কে এসেছে, ময়ুরপঙ্খী নায়।
কে এসেছে, কে এসেছে, গাঁয়ের লোকে ছুটে
বাঁশ বাগানের মাথার উপর, পুর্ণ শশী উঠে।
সবাই ডেকে কইলো তারে, নায়র যাবে বঁধু
জোয়ার ভেঙে যাবে যে নাও, তাইতো ভাবে শুধু।
অনেক দিনের পরে সে যে, যাবে বাবার বাড়ি
বাবা-মায়ের দেখা পাবে, টান দিয়েছে নাড়ি।
গাঁয়ের কথা পড়লে মনে, স্মৃতির কাহন বাড়ে
ছোট বেলার সঙ্গী সাথী, মনটা যে তাই কাড়ে।
হল্লা করে গাঁয়ের মাঠে, সেই সে খেলার দিন
স্মৃতির পাতায় তোলা আছে, হয়না কভু ক্ষীণ।
তাইতো বসে ভাবছে কবে, যাত্রা হবে শুরু
তবুও কেন বুকের মাঝে, করছে দুরু দুরু।
এটাও যে তার স্বামীর বাড়ি, ওটাও যে তার গাঁ
দু’টোই সমান ভালো লাগে, নেইকো তুলনা।
এমনি করেই সুখ ছড়িয়ে, বিলায় সে তার প্রাণ
সারা জীবন বহুক সেথায়, প্রণয়েরই বান।
(“ভোরের মাঝি” কাব্য থেকে)