ফুটপাতের ওপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাকী
নিয়ন বাতিটা,
ওর নিষ্পলক চোখের ঝরে যাওয়া জলের ফোঁটাকে
দেখতে যায়কি কেউ।
কেউ কি উপলব্ধি করে, ওর ম্লান চেহারাটা।
প্রতিটা ঝড়, প্রতিটা খরা
প্রতিটা বৃষ্টির সাক্ষী হয়ে আছে, ও।
এক অদৃশ্য হাত দিয়ে, কখন যে ঢেঁকে দিয়েছে
নিজের অবয়বটাকে, ঢেঁকে দিয়েছে
আপন দুঃখগুলোকেও।
বেদনার নীলচে রঙে ভরে থাকে হৃদয়টা সারাক্ষণ,
যদিও বা তা মোটেই ক্ষণস্থায়ী নয়
পারাবত, পারাবত সম।
নিজের প্রচ্ছায়াকে খুঁজে ফেরা, আপন মনে-
নিজেরই ফেলে যাওয়া পথটার
ধুলোগুলোকে ঝেড়ে ঝেড়ে।
কারণে, অকারণে, ঝরে পড়ে
জুঁইগুলো- শূন্য বাতায়নে,
কোন সুখে ঝরে ওরা
ভেবে দেখেছে কি কেউ কখনও!
কিসের আতিশয্যে আত্মাহুতি দেয়
ঘুণ পোকাগুলো, মোমের আলোতে?
কিসের অনুভবে জেগে থাকা
অকস্মাৎ উন্নাসিকতায়,
প্রাচীন, ক্ষয়ে যাওয়া
হৃদয়টাকে সাথে করে।
(“মেঘের আড়াল” কাব্য থেকে)