রজনীকে শুধালাম, ঘুমাও না কেন?
সে হেসে উঠে কইলো,
আমি যদি ঘুমোই, তবে স্বপ্ন দেখাবে কে?
নীলকন্ঠীকে শুধালাম, গেয়ে উঠছোনা কেন?
সে কইলো, যদি হঠাৎ করে গেয়ে উঠি
তাহলে মাধবীলতাকে জাগাবে কে?
যমুনাকে শুধালাম, বইছোনা কেন?
কইলো সে কুলুকুলু রবে,
যদি আমি এখনই বয়ে যাই, তবে
দুখিনীর অশ্রুজলকে
সাগরের কাছে বয়ে নিয়ে যাবে কে?
তারাদেরকে শুধালাম,
শতকোটি আলোকবর্ষ দূরে থেকেও
মিটিমিটি জ্বলে যাও কেন?
ওরা মৌন হাসি হেসে কইলো,
তাহলে পৃথিবীর সব উদাসী আত্মায়
আবেগ ভরাবে কে?
দিবাকরকে শুধালাম,
আজকে এতো দেরীতে উঠলে কেন?
তার স্বাভাবিক স্বরেই সে কইলো,
তাহলে খুকুমনির আঁখিতে আর একটু
স্বপ্নের আবেশ বুলাবে কে?
(“দ্বিভূজ” কাব্য থেকে)