দিন চলে যায়, কখনও বা হিমেল হাওয়ায়
কখনও বা দখিনা বায়ে,
কখনও বা ফসলের ক্ষেত ছুঁয়ে যায় বয়ে।
শান্ত দীঘির জলে ভেসে থাকা পদ্মপাতায়,
চৈত্রের খরার এক পশলা বৃষ্টি,
ফিরিয়ে দেয় অনেক যত্ন করে
এক ফোটা স্ফটিক জল।
বোশেখের ঝড়টা
কি হঠাৎ করেই গেছে থেমে?
আকাশের সীমানাতে
এক চিলতে মেঘও তো দেখছিনা!
তাহলে এটা কি আবার
নতুন করে ওঠা কোন ঝড়ের পূর্বাভাস।
ঝোড়ো হাওয়া! না, তাতে জল নেই এতটুকু
শুধু শুকনো ধুলো দিয়ে ভরে দেয় দেহখানি,
আর সেই বিপাকে পড়েও মন্ত্রমুগ্ধের মতো
চেয়ে থাকা, চোখের পাপড়িটাও
ভারী হয়ে আসে, ধুলোর পরতে।
দূর থেকে ভেসে আসে
কোন রাখালের বিষন্ন বাঁশি,
সাথে নিয়ে ফিরে বোবা কান্নার নূপুর।
অযথা আচ্ছাদিত হওয়া গৈরিক বসনে
দিন কাটে বিষাদে, রাত্রি কাটে আর একটা
সমকালীন ভোরের অপেক্ষায়।
আর জীবনটা চলেছে,
সেতো, এক খোড়া ঘোড়া।
(“দ্বিভূজ” কাব্য থেকে)